Gandhi Jayanti: ‘যাঁরা ‘গডসে জিন্দাবাদ’ বলছেন, তাঁরা দেশকে লজ্জিত করছেন’, তীব্র নিন্দায় বরুণ গাঁধী
তিনি বলেছেন, এই সব লোকজন দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে দেশকে লজ্জার মুখে ফেলছেন। তাঁদের নাম নিয়ে সর্ব জনসমক্ষে লজ্জিত করা উচিত।
নয়াদিল্লি: আজ জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিন। সারা দেশ মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর জন্মদিবস পালন করছে দেশবাসী। এরইমধ্যে ট্যুইটারে যাঁরা মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে মহিমান্বিত করছেন, তাঁদের একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী। তিনি বলেছেন, এই সব লোকজন দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে দেশকে লজ্জার মুখে ফেলছেন। তাঁদের নাম নিয়ে সর্ব জনসমক্ষে লজ্জিত করা উচিত।
বরুণ গাঁধী বলেছেন, ভারত চিরদিন এক আধ্যাত্মিক মহাশক্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশকে যিনি আধ্যাত্মিকতার ভিত্তিতে যুক্ত করেছিলেন. তিনি মহাত্মা গাঁধী। এভাবে তিনি আমাদের যে নৈতিক ভিত্তি দিয়েছিলেন, আজও আমাদের একটা বড় শক্তি। ‘গডসে জিন্দাবাদ’ ট্যুইট যাঁরা করছেন, তাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে দেশকে লজ্জিত করছেন।
বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী আরও বলেছে, বৃত্তের বাইরে থাকা এই পাগলামিকে মূলধারায় প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া যায় না। তিনি বলেছেন, মহাত্মা গাঁধীর আদর্শের কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের যে সম্মান রয়েছে, তা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। যাঁরা ‘গডসে জিন্দাবাদ’ ট্যুইট করছেন, তাঁর নাম প্রকাশ্য়ে এনে সর্ব সমক্ষে লজ্জিত করা উচিত।
মহাত্মা গাঁধীর জন্মজয়ন্তীতে ট্যুইটারে ‘নাথুরাম গডসে জিন্দাবাদ’ ট্রেন্ড হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বরুণ গাঁধী এই মন্তব্য করেছেন। তিনি এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। দক্ষিণপন্থীদের একাংশ প্রায়ই ওই ব্যক্তির প্রশংসা করে মন্তব্য পোস্ট করে থাকেন। ওই ব্যক্তি ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গাঁধীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮৬৯-এর ২ অক্টোবর গুজরাতের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। তিনি ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশ কয়েক বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেখানেও তিনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের একত্রিত করে আন্দোলন করেছিলেন। ভারতে ফিরে এসে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি চিরদিন অহিংসার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এসেছেন। এদিন মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিন রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।