কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের জায়গা নেই: রাহুল
গত সপ্তাহে কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি রাহুল সহ একাধিক বিরোধী নেতাকে।
নয়াদিল্লি: কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ফলে, এখানে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ করার কোনও জায়গা নেই। বুধবার এমনটাই জানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী।
তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর একাধিক বিষয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু, একটা বিষয় স্পষ্ট। তা হল, এখানে পাকিস্তানের মাথা গলানোর কোনও জায়গা নেই। টুইটারে তিনি বলেন, আমি সরকারের সঙ্গে অনেক বিষয়ে মতানৈক্য পোষণ করতে পারি। কিন্তু, একটা বিষয়ে আমি সাফ জানিয়ে দিতে চাই। কাশ্মীর হল ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে পাকিস্তান হোক বা অন্য যে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের প্রশ্নই নেই।
I disagree with this Govt. on many issues. But, let me make this absolutely clear: Kashmir is India’s internal issue & there is no room for Pakistan or any other foreign country to interfere in it.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 28, 2019
এখানেই থেমে না থেকে রাহুল যোগ করেন, জম্মু-কাশ্মীরে হিংসা হয়ে চলছে। সেখানে হিংসা হচ্ছে, কারণ তাতে পাকিস্তান উস্কানি ও মদত দিচ্ছে। সকলেই জানে, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদে মূল পৃষ্ঠপোষকের নাম হল পাকিস্তান।
There is violence in Jammu & Kashmir. There is violence because it is instigated and supported by Pakistan which is known to be the prime supporter of terrorism across the world.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 28, 2019
কাশ্মীর নিয়ে রাহুলের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গত সপ্তাহে কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি রাহুল সহ একাধিক বিরোধী নেতাকে। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যার পরই, কংগ্রেস সাংসদ কটাক্ষ করেন, বোঝাই যাচ্ছে ভূস্বর্গের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজারা। তার আগে, আটকানো হয় জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে। প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ পেয়েছে। পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। রাজ্যসভা এবং লোকসভা দুই কক্ষেই পাস হয়ে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। মিলেছে রাষ্ট্রপতির সম্মতিও।