এক্সপ্লোর
Advertisement
কর্নাটকে সরকার ফেলতে বিজেপির 'অপারেশন লোটাস'? খারিজ করলেন কুমারস্বামী
বেঙ্গালুরু: কর্নাটকে ফের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত। রাজ্যের কংগ্রেস-জেডি(এস) সরকার ফেলতে বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস’ শুরু করেছে বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের। যদিও তাঁর সরকারের সামনে কোনও সংকট নেই বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তবে একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে শাসক জোটের বিধায়কদের প্রলোভন দেখানোর চেষ্টার অভিযোগও করেছেন তিনি। তবে ওই বিধায়কদের কেউই শিবির বদলাবেন না বলেও আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কুমারস্বামী বলেছেন, ‘অপারেশন লোটাস সম্পর্কে কিছু সংবাদ আমি সংবাদমাধ্যমের একাংশে দেখেছি। আজকেও একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে, রাজ্যে আগামী ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে।আমি জানি না, এসব খবর সংবাদমাধ্যমকে কে খাওয়াচ্ছে..এ ধরনের খবর থেকে আমি অবাক। এ ধরনের খবরে কে লাভবান হবে, তা ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই, কিন্তু আমার মতে, এটা রাজ্যের মানুষের পক্ষে একটা ক্ষতি’।
২০০৮–এ মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সরকার টিকিয়ে রাখতে বিরোধী বিধায়কদের টাকা ও পেশিশক্তির বলে নিজেদের দলে টানার অভিযোগ ওঠে বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে।রাজনৈতিক মহলে ইয়েদুরাপ্পার এই কৌশলই ‘অপারেশন লোটাস’ নামে পরিচিত।
কংগ্রেসের ছয় থেকে আটজন বিধায়ক গৈরিক শিবিরে যোগ গিতে পারেন এবং তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে এই মুহূর্তে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জল্পনা তৈরি হয়।
রাজ্যের জল সম্পদমন্ত্রী ডে কে শিবকুমারও দাবি করেন, তিন কংগ্রেস বিধায়ক মুম্বইতে কয়েকজন বিজেপি নেতার সঙ্গে মুম্বইয়ের একটি হোটেলে রয়েছেন।
শিবকুমারের এই দাবি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কুমারস্বামী বলেছেন, ‘তাঁরা সবাই আমার বন্ধু। মুম্বইতে থাকা বিধায়করা বা বিজেপির ১০৪ বিধায়ক (যাঁরা এখন দিল্লিতে রয়েছেন)- তাঁরা সবাই আমারই লোক। তাই সরকারের স্থিতিশীলতার অভাবের কোনও প্রশ্নই নেই। যে কংগ্রেস বিধায়করা মুম্বইতে রয়েছেন, তাঁরা আমাকে জানিয়েই গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে।আজ সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।ব্যক্তিগত কারণে তাঁরা গিয়েছেন। এতে রাজনৈতিক গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।আমার সরকারের যদি স্থিতিশীলতার সংকট দেখা যায়, তাহলে আমার পক্ষে কী সুস্থির হয়ে বসে থাকা সম্ভব হত?’
শিবকুমার গতকাল রবিবার দাবি করেছিলেন, রাজ্যে জোট সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রকৃত অর্থেই অপারেশন লোটাসের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি প্রকাশ না করে বিজেপির প্রতি ‘নমনীয়তা’ দেখাচ্ছেন।
দিল্লিতে দলের ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের ১০৪ বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের সেখানেই রেখে দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে আজ কংগ্রেস মন্ত্রীদের বৈঠকে ডাকেন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, দলের পরিষদীয় নেতা সিদ্দারামাইয়াও বৈঠকে ছিলেন। এই দুটি ঘটনা জল্পনা আরও জোরদার করে।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কুমারস্বামী বলেছেন, বিষয়টি পুরোপুরি দুই দলের বিষয়।
একইসঙ্গে কুমারস্বামী বলেছেন, কাদের সঙ্গে বিজেপি যোগাযোগ করছে এবং তাঁদের প্রলোভন দিতে কী প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তা তাঁর জানা রয়েছে। তবে শাসক জোটের কোনও বিধায়কই বিজেপি শিবিরে যাবেন না বলেও আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পরমেশ্বরও দাবি করেছেন, সরকার স্থিতিশীলই রয়েছে। বিজেপি কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙাতে চাইছে অভিযোগ করে তিনি দাবি করেছেন, এই চেষ্টা সফল হবে না।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement