‘কাশ্মীরের মতো বাংলাকেও ঠাণ্ডা করুন অমিত’, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন সব্যসাচী
বিজেপিতে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত।
কলকাতা: বিজেপিতে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত। মঙ্গলবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে নাগরিকপঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিজেপির সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই, তাঁর উপস্থিতিতে সব্যসাচীর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগদান ঘিরে ছিল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। ওঠে জয় শ্রী রাম স্লোগান। সব্যসাচীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন বিধাননগর পুরসভার দুই তৃণমূল কাউন্সিলর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনাথ ভান্ডারী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রসেনজিৎ সর্দার। এদিন সকালে পুজো সেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওয়ার্ড অফিসে যান রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক। তারপর যান নেতাজি ইন্ডোরে। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর এদিন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী জানান, বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি গর্ববোধ করছেন। একইসঙ্গে, ‘কাশ্মীরের ঢঙে বাংলাকে ঠাণ্ডা’ করার আর্জি করেন অমিত শাহকে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সব্যসাচী কী বলেছেন-- ‘বিজেপিতে যোগ দিয়ে গর্ব বোধ করছি। আমার কাছে আগে দেশ, তারপর দল, তারপর ব্যক্তি। মুকুলদা বাড়িতে লুচির আলুর দম খান, তা নিয়ে কত কথা। মুকুল দা আমার পরিবারের সদস্য। পারস্পরিক আতিথেয়তা আমাদের মধ্যে থাকবে। যাঁরা মানেন না তাঁরা মনে হয় অন্য গ্রহের। কাশ্মীরের মতো বাংলাকেও ঠাণ্ডা করুন অমিত। পাশে থেকে যারা ছুরি মারছে তাদের চিনে রাখুন। মা বোনেদের বলছি, কালো ও মরা চাল সরিয়ে রাখুন। তাহলেই পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি হবে। এনআরসিতে আমার কোনও আপত্তি নেই। অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে থাকতে দেব না।’ প্রসঙ্গত, সব্যসাচী দত্তর বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা দীর্ঘদিনের। তাঁর বাড়িতে গিয়ে মুকুল রায়ের লুচি-আলুর দাম খাওয়া থেকে যে জল্পনার সূত্রপাত। গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে সব্যসাচীর। মাঝমধ্যে মুখ খুলে দলের অস্বস্তিও বাড়িয়েছেন তিনি। শেষপর্যন্ত জল্পনা সত্যি করে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। আগামী বছর বিধাননগরে পুরভোট। সেই ভোটে সব্যসাচী দত্ত বিজেপিকে সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।