সাংবাদিকরাও কোভিড-যোদ্ধা, টিকাকরণে অগ্রাধিকার চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি
এরইমধ্যে টিকাকরণের জন্য সাংবাদিকদের করোনার বিরুদ্ধে প্রথমসারির যোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাল ওড়িশা সরকার। মুদ্রণ ও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও সংবাদ-কর্মীদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারস (এফএলডব্লুএস)-এর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রককে অনুরোধ করল ওড়িশা সরকার।
ভূবনেশ্বর: বছর ঘুরেও চলছে করোনাভাইরাসের দাপট। ইতিমধ্যেই করোনার বিরুদ্ধে টিকাকরণ অভিযানও শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। টিকাকরণ অভিযানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনার বিরুদ্ধে প্রথমসারির যোদ্ধাদের বেছে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনার বিরুদ্ধে অগ্রণী যোদ্ধাদের পর এবার বয়স ও অসুস্থতা সংক্রান্ত কারণে ঝুঁকির মুখে থাকা ব্যক্তিদের টিকাকরণ চলছে। এরইমধ্যে টিকাকরণের জন্য সাংবাদিকদের করোনার বিরুদ্ধে প্রথমসারির যোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাল ওড়িশা সরকার। মুদ্রণ ও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও সংবাদ-কর্মীদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারস (এফএলডব্লুএস)-এর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রককে অনুরোধ করল ওড়িশা সরকার।
এই আর্জি জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছেন ওড়়িশার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পিকে মহাপাত্র। চিঠিতে তিনি কাজের প্রকৃতির নিরিখে বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকজনকে টিকাকরণের জন্য প্রথমসারির যোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক ছাড়াও তিনি বিদ্যুৎ , জল সরবরাহ , বিমানবন্দর ও রেল এবং সমুদ্র বন্দরগুলির মতো বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পরিবেষার কাজে নিযুক্তদের এসএলডব্লুএস-এর তালিকায় সামিল করার আর্জি জানিয়েছেন।
মহাপাত্র বলেছেন, পুরী ও ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরের সেবায়েত ও পুরোহিতদেরও এই তালিকায় সামিল করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার অনুরোধও তিনি জানিয়েছেন।
মহাপাত্র বলেছেন, এমন অনেক পেশার মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কাজের প্রকৃতির নিরিখে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু তাঁদের এফএলডব্লুএস তালিকায় রাখা হয়নি।
উল্লেখ্য, ওড়িশায় রাজ্য ও জেলা পর্যায়ে কোভিড-১৯ নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্বে নিযুক্ত বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের করোনার বিরুদ্ধে প্রথমসারির যোদ্ধা হিসেবেই গন্য করা হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই এই সব দফতরের কর্মীদের এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে দেশের ৩ কোটি করোনা-যোদ্ধাকে টিকা দেওয়া শুরু হয়।প্রথম পর্যায়ে দেশের ৩ কোটি করোনা-যোদ্ধাকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। চিকিৎসক, নার্স-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সব সদস্যদের টিকাকরণের পর্ব শেষের পর পরবর্তী পর্ব শুরু হয়।