‘প্রিয়ঙ্কাকে শান্তিদূতের পদ থেকে বরখাস্ত করা হোক’, রাষ্ট্রসংঘকে কড়া চিঠি পাকিস্তানের
রাষ্ট্রসংঘকে ইসলামাবাদের চিঠি, বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে শান্তিদূতের পদ থেকে সরাতে হবে।
ইসলামাবাদ: রাষ্ট্রসংঘকে ইসলামাবাদের চিঠি, বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে শান্তিদূতের পদ থেকে সরাতে হবে। কারণ, প্রিয়ঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের গুডউইল অ্যাম্বাসেডার হওয়া সত্ত্বেও দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধে মদত দিচ্ছেন, অভিযোগ পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারির। ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোরকে লেখা এক চিঠিতে শিরিন মাজারি কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন। জার্মানির নাৎসি পার্টির সঙ্গে তুলনা করে বিজেপিকে বিঁধেওছেন শিরিন। একই সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে শান্তিদূতের পদ থেকে বরখাস্ত করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে শিরিন লিখেছেন, “বর্তনাম এনডিএ সরকারের নীতি নাৎসি আমলের মতোই। জাতিভেদ, বর্ণবৈষম্য, ফ্যাসিজম এবং গণহত্যার বিষয়গুলোতে ইন্ধন জোগানো হচ্ছে। প্রিয়ঙ্কা (চোপড়া) জনসমক্ষে ভারত সরকারের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পরমাণু হুমকি-তেও প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে তাঁর।”
In a letter, Dr Mazari said the support of UN Goodwill Ambassador Ms Chopra for Indian violations of Int conventions,UN resolutions on Kashmir/nuclear threat to Pak by Indian Defence Minister and nuclear war undermines the credibility of UN position to which she has been elevated
— Ministry of Human Rights Government of Pakistan (@mohrpakistan) August 21, 2019
পাকিস্তানের দাবি, সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত নীতির লঙ্ঘন করেছে ভারত। আরও একধাপ এগিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে পাকিস্তান নালিশ করেছে। শিরিন চিঠিতে লেখেন, “অসমে নাগরিক পঞ্জিকরণ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে খুঁজে বার করা হচ্ছে। মোদি সরকার ৪০ লাখ মুসলিমের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছে।” পাক মন্ত্রী শিরিনের অভিযোগ, “প্রিয়ঙ্কা একজন গুডউইল অ্যাম্বাসেডার হওয়ার সুবাদে তাঁর উচিত শান্তি পক্রিয়াকে সর্বাধিকার দেওয়া এবং শান্তির পথ প্রশস্ত করা। তিনি সেটা করছেন না। তাঁর উগ্র দেশপ্রেম পরমাণু যুদ্ধে মদত দিচ্ছে।” এরপরও ইউএন-এর গুডউইল অ্যাম্বাসেডারের পদ থেকে প্রিয়ঙ্কাকে না সরানো হলে তা বিশ্ববাসীর কাছে উপহাসে পরিণত হবে, চিঠিতে এই ভাষাতেই নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন ইমরান খানরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের আগে এক পাকিস্তানি মহিলার আক্রোশের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বালাকোট এয়ারস্ট্রাইককে সমর্থন করে প্রিয়ঙ্কার ট্যুইট নিয়ে অভিনেত্রীকে আক্রমণ করা হয়। এমনও অভিযোগ ওঠে, বলি অভিনেত্রী পরমাণু যুদ্ধে মদত দিচ্ছেন। যার জবাবে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “পাকিস্তানে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। আমি যুদ্ধবিলাসী নই কিন্তু একজন দেশপ্রেমিক।”