Suvendu Adhikari Resignation: "দেখ কেমন লাগে! একটা সার্কাস পার্টি, এবার দলটাই উঠে যাবে", শুভেন্দু-পদত্যাগে তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপের
"অশনি-সঙ্কেত, তৃণমূলের অস্তিত্ব লোপ পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল...": অধীর চৌধুরী
কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে "সার্কাস পার্টি"-র সঙ্গে তুলনা টেনে তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, কোনও সুস্থ ভদ্রলোক তৃণমূল করে না।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, আগে থেকেই জল্পনা রয়েছে যে শুভেন্দু পার্টি ছাড়তে পারেন। নানারকম গুঞ্জন, আলোচনা হচ্ছে। এটা হওয়ারই ছিল। কারণ, ওই দলে থাকার মতো পরিবেশ নেই। এটা তৃণমূলের শেষের শুরু। এবার ধীরে ধীরে দলটাই উঠে যাবে।
দিলীপের মতে, একটা স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী শাসনের মধ্য দিয়ে চলছে তৃণমূল। রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশে যা চলতে পারে না। যাদের মনে হয়েছে সেখানে থাকতে পারবেন না, বেরিয়ে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূল দল হল একটা সার্কাস পার্টি। সেখানে মালিক-ডিরেক্টর-প্রোডিউসার আছেন, বাকিরা কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। যাঁরা সম্মানের সঙ্গে থাকতে চান, তাঁরা দল ছাড়ছেন।
শুভেন্দু পদত্যাগে দিলীপের কটাক্ষ, "দেখ কেমন লাগে!" তিনি বলেন, এখন কোনও সুস্থ, ভদ্রলোক তৃণমূল করেন না। করে কিছু চোর-ছ্যাঁচোড়, পকেটমার, কাটমানি-সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতরা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দেন, অর্জুনবাবু (সিংহ) বলেছিলেন, তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ আসতে চান। আরও বেশি সংখ্যক বিধায়কও আসতে চান বিজেপিতে। ফলে, অনেকেই ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রেখেছেন। মিহির গোস্বামী দিল্লি গিয়েছেন। হয়ত শীঘ্রই যোগ দেবেন। তেমনই, যাঁরা আসতে চান আসতে পারেন।
দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শুভেন্দু যদি বিজেপিতে আসতে চান, তাহলে তাঁকে সমাদরে স্বাগত জানানো হবে। তিনি বলেন, ওনার মতো লড়াকু নেতাকে আমরা স্বাগত জানাব।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, শুভেন্দুর ইস্তফায় সকলের কাছে প্রমাণিত হল যে, মমতা সরকারের প্রতি শুধুমাত্র রাজ্যবাসীর নয়, দলের নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যেও প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে কংগ্রেস-সিপিএমও। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী শুভেন্দুর পদত্যাগকে তৃণমূলের অশনি-সঙ্কেত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শীঘ্রই তৃণমূল ভেঙে টুকরো-টুককো হয়ে যাবে। এটা তার শুরু। তৃণমূলের অস্তিত্ব লোপ পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
শুভেন্দুকে তৃণমূলের স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন অধীর। বলেন, স্তম্ভ যখন ভাঙবে, তখন তৃণমূল নামে মমতা যে অট্টালিকা তৈরি করেছেন, তা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। এখন সেই ভাঙনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।