Telangana Police Food Delivery: কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতে নিখরচায় খাবার পরিষেবা চালু করল তেলঙ্গানা পুলিশ
করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল তেলঙ্গানা পুলিশ। তারা সেবা আহার (নিখরচায় খাবার) পরিষেবা শুরু করেছে।
হায়দরাবাদ: দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। চতুর্দিকে হাসপাতালের বেড, ওষুধপত্র ও অক্সিজেনের অভাব হাহাকার তৈরি করেছে। এরইমধ্যে অনেক আক্রান্ত বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল তেলঙ্গানা পুলিশ। তারা সেবা আহার (নিখরচায় খাবার) পরিষেবা শুরু করেছে। শ্রী সত্য সাই সেবা অর্গানাইজেশন, লিডলাইফ ফাউন্ডেশন, সুইগি, বিগ বাস্কেট ও হোপ অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় এই পরিষেবা চালু করেছে তেলঙ্গানা পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ডিজি এম মহেন্দর রেড্ডির দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যাঁদের প্রয়োজন ৭৭৯৯৬১৬১৬৩ নম্বরে তাঁদের নাম, যোগাযোগ নম্বর, বাসস্থানের ঠিকানা ও আইসোলেশন কোভিড-১৯ পজিটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে মেসেজ পাঠাতে পারেন। ডিজির অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোগীদের বাড়ির দরজায় খাবার পৌঁছে দেওয়াই এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য। প্রতিদিন এক থেকে দুই হাজার বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্তদের খাবার পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রত্যেকদিন সকাল ছয়টার আগে অনুরোধ জানাতে হবে। এরপর কোনও আবেদন হলে, তা পরের দিনের বলে গন্য করা হবে। সর্বোচ্চ পাঁচজনের জন্য এই খাবারের অর্ডার দিতে পারবেন একজন। নথিভূক্ত মোবাইল নম্বরে সর্বাধিক পাঁচদিনের জন্য খাবার অর্ডার দেওয়া যাবে।
ডিজি-র অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই সেবা আহার মোবাইল অ্যাপ লঞ্চের মাধ্যমে এই নিখরচায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। আইসোলেশনে থাকা প্রবীণ ও শিশুদের এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যে খাবার দেওয়া হবে, তা পুষ্টিকর বলেও জানানো হয়েছে।
শ্রী সত্য সাই সেবা অর্গানাইজেশন এই খাবার তৈরি করবে। খাবার রোগীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবেন বিগ বাস্কেট ও সুইগি এক্সিকিউটিভরা। সেইসঙ্গে থাকছেন কিছু এনজিও-র স্বেচ্ছাসেবীও।
উল্লেখ্য, লাফিয়ে বাড়ছে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ। গতকালের তুলনায় একদিনে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ল প্রায় ২ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল ৪ লক্ষ ১৪ হাজার। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা হল ৩ হাজার ৯১৫।করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২ লক্ষ ৩৪ হাজার।