TN Rain Alert: তামিলনাড়ুতে বৃষ্টিতে মৃত ৫, ত্রাণশিবিরে ১০,৫০০ জন
Tamil Nadu Rains: তামিলনাড়ুতে বন্যা পরিস্থিতির শনিবার স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও কয়েকদিন ধরে দুর্যোগ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আরও কয়েকদিন ধরে দুর্যোগ চলতে পারে বলে পূর্বাভাস।
চেন্নাই: তামিলনাড়ুতে ফের প্রবল বৃষ্টি। মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১০,৫০০ জনকে। তামিলনাড়ুর রাজস্বমন্ত্রী কে কে এস এস আর রামচন্দ্রন এই খবর জানিয়েছেন।
তামিলনাড়ুতে বন্যা পরিস্থিতির জেরে শনিবার স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও কয়েকদিন ধরে দুর্যোগ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
বৃহস্পতিবার থেকে তামিলনাড়ুতে নতুন করে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। তার ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ১২টি জেলায় ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেই ত্রাণশিবিরগুলিতে বন্যাদুর্গতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন অঞ্চলে পাঁচটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ৬২০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে আরিয়ালুর, ডিন্ডিগুল, শিবগঙ্গা, তিরুবন্নামালাই জেলায়। পাঁচজনের মৃত্যুর পাশাপাশি বৃষ্টির ফলে ১৫২টি গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৬৮১টি ঝুপড়ি ও ১২০টি পাকাবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তামিলনাড়ুর রাজস্বমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির ফলে রাজ্যের প্রধান জলাধারগুলির আর জলধারণের ক্ষমতা নেই। পার্শ্ববর্তী নদীগুলির জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তার ফলে সমস্যা বেড়েছে। ত্রাণের কাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আগামী কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই কারণে পুলিশ, দমকল ও ত্রাণ বিভাগকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
তামিলনাড়ুতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যটির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুড্ডালোর, ভিল্লুপুরম, চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপাট্টু, তিরুভাল্লুর, ভেলোর, রানিপেট, তিরুপাত্তুর, নাগাপট্টিনম, মায়িলাদুথুরাই, কাল্লাকুরিচি, তিরুভান্নামালাই সহ বিভিন্ন অঞ্চল জলমগ্ন। বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। চেন্নাই সহ মোট ১১-১২টি জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চেন্নাই কর্পোরেশন অঞ্চলের পরিস্থিতিও মোটেই ভাল নয়।
ত্রাণশিবিরের পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্পও চালু করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে যাতে পেটের রোগ ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক চিকিৎসকরা।