শেষ হল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠক, ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তান-চিনের, ভারতকে সমর্থন চার স্থায়ী সদস্য-দেশের
১৯৬৫-র পর ২০১৯। ৫৪ বছর পর আবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে উঠল কাশ্মীর ইস্যু।
সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। একইসঙ্গে চিনেরও। কাশ্মীর-ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে পাঁচ সদস্য দেশের মধ্যে চারজনই ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন করল। ১৯৬৫-র পর ২০১৯। ৫৪ বছর পর আবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে উঠল কাশ্মীর ইস্যু। পাকিস্তানের দাবি মেনে নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মী ইস্যু নিয়ে বৈঠকের ডাক দেয় চিন। সেই মতো এদিন বেসরকারিভাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য -- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ব্রিটেন। এছাড়া, বৈঠকে ছিল ২০ অস্থায়ী সদস্য দেশ। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চেয়ে জোর তদ্বির করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু, তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু, সূত্রের খবর, প্রায় ৭৩ মিনিট ধরে চলা ওই বেসরকারি বৈঠকে চার স্থায়ী সদস্য ভারতকে সমর্থন করে। ফলে, ন্ধু চিনের এই উদ্যোগেও লাভ হল না পাকিস্তানের। উল্টে কাশ্মীর নিয়ে ফের মুখ পুড়ল তাদের। সূত্রের খবর, রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে - এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কোনও ভূমিকা নেই। কারণ এটি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। একই মতামত জানায় আমেরিকারও। শুধু বেসুরো চিন। শুক্রবার বেজিংয়ের কথাতেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় কাশ্মীর ইস্যুতে। সূত্রের দাবি, বৈঠকে পাকিস্তানের খুল্লমখুল্লা সমর্থন করে বেজিং। পাকিস্তানও নিজের মতো করে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও, তাদের এদিনের চেষ্টা বিফলে যায়। প্রসঙ্গত, এদিনই বৈঠক শুরুর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দুই নেতার মধ্যে প্রায় ১২ মিনিট কথা হয়। সূত্রের দাবি, ইমরান কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি তাতে। পাকিস্তানের তরফে যোগাযোগের এই চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ পেয়েছে। পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। এই পরিস্থিতিতে ক্রমাগত হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে বরখাস্ত করে ইসলামাবাদ। সমঝোতা এক্সপ্রেস, থর এক্সপ্রেস, সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। এরপর থেকে সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে পাক বাহিনী। যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতও। কোনও পন্থায় লাভ না হয়ে শেষে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা -- সব ঋতুর বন্ধু চিনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হয় ইসলামাবাদ। সবমিলিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল পাকিস্তান।