WB Election LIVE Updates: সিএএ নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল, তোপ মুকুলের, বৈঠকের পর দলবদলের জল্পনা ওড়ালেন শান্তনু
রাজ্য প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে নিউ টাউনের হাতিয়াড়ায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে দিলীপ বললেন, ‘কলকাতা, যাদবপুরে তল্পিবাহকদের উপাচার্য করা হয়েছে। বিশ্বভারতীকেও রাজনীতির আখড়া করতে চাইছেন।’
LIVE
Background
কলকাতা: একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, শাসক ও বিরোধী তরজা তত তীব্র হচ্ছে। রোজই একে অন্যের দিকে নিশানা করে তোপ দেগে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির নেতা-নেত্রীরা।
বুধবারও তার ব্যতিক্রম হল না। রাজ্য প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে নিউ টাউনের হাতিয়াড়ায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে দিলীপ বললেন, ‘কলকাতা, যাদবপুরে তল্পিবাহকদের উপাচার্য করা হয়েছে। বিশ্বভারতীকেও রাজনীতির আখড়া করতে চাইছেন।’
সব্জি-আনাজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেছেন, ‘যে আলু ৫ টাকায় বিক্রি হয়, তা ৪৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। পেঁয়াজ ৩ টাকায় বিক্রি করে ৮০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এই তো রাজ্যের কৃষকদের অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইরা কাটমানি খাচ্ছে, মরছে কৃষক।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘সবাই সন্দেহ বাতিকের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। দিদি ভাবছেন, সবাই বোধহয় বিজেপি হয়ে গিয়েছে। এটা একটা অসুখের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সরকারের উপর ভরসা নেই। জনগণের উপর ছেড়ে দিতে হচ্ছে? হারের ভয়ে মানুষ এমন অসংলগ্ন কথা বলে।’
ফের পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে তৃণমূলে ভাঙন। দল ছাড়লেন হলদিয়া উন্নয়ন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য সোমনাথ ভুঁইয়া। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা উস্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এই নেতার। দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সভা করে, তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই দিনই তাঁর জেলায় ফের ভাঙন ধরল তৃণমূলে। এবার দল ছাড়লেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সদস্য সোমনাথ ভুঁইয়া। যিনি শুভেন্দুর অনুগামী বলেই পরিচিত। এবার গন্তব্য কি বিজেপি? শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ সোমনাথের কথায় সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীর দলত্যাগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। যদিও, এনিয়ে সুর চড়াতে দেরি করেনি বিজেপি।