Afghanistan Crisis : বিদেশি ও আফগানদের নিরাপদে বেরোতে দিন, আবেদন আমেরিকা সহ ৬০-এর বেশি দেশের
যেসব বিদেশি ও আফগান যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছেন, তাঁদের নিরাপদে বেরোতে দিন। সেদেশের "সব পক্ষের" কাছে এই আর্জি জানাল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপান, জার্মানি ও কানাডা সহ ৬০-এর বেশি দেশ।
ওয়াশিংটন : যেসব বিদেশি ও আফগান যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছেন, তাঁদের নিরাপদে বেরোতে দিন। সেদেশের "সব পক্ষের" কাছে এই আর্জি জানাল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপান, জার্মানি ও কানাডা সহ ৬০-এর বেশি দেশ। তাদের দাবি, রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর ও সীমানা এলাকা খোলা রাখুন। তালিবানরা কাবুলে প্রবেশ করে প্রেসিডেন্সিয়াল ভবনের দখল নেওয়ার পর এই সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতি জারি করা হয় আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট থেকে।
রবিবার জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে যারা ক্ষমতায় বা কর্তৃত্বে রয়েছেন, মানুষের জীবন এবং সম্পত্তির সুরক্ষা দেওয়া তাঁদের কর্তব্য। অবিলম্বে নিরাপত্তা এবং নাগরিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে। আফগান জনগণ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের যোগ্য বলে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।
আমেরিকার পাশাপাশি যৌথ বিবৃতিতে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহামা, বেলজিয়াম, বুরকিনা ফাসো, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, কোট ডি আইভোর, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, এল সালভাদর, এস্তোনিয়া, বৈদেশিক বিষয় ও নিরাপত্তা বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধি নীতি, মাইক্রোনেশিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, ঘানা, গ্রিস, গুয়াতেমালা, গায়ানা, হাইতি, হন্ডুরাস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লাটভিয়া, লাইবেরিয়া, লিচেনস্টাইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মৌরিতানিয়া, নাউরু, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নাইজার, নরওয়ে, পালাউ, পানামা, প্যারাগুয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুরিনাম, সুইডেন, টোগো, টোঙ্গা, উগান্ডা, ইংল্যান্ড ইউক্রেন এবং ইয়েমেন।
রবিবার রাজধানী কাবুল দখল করেছে তালিবান। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের দখল নিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। এদিকে রবিবার তালিবান কাবুলে প্রবেশ করতেই দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে পাড়ি দিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মুহিব। তালিকায় নাম রয়েছে প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক অফিসের প্রধান ফজল মাহমুদ ফজলির।