Agra Oxygen Mock Drill :"মক অক্সিজেন ড্রিল" ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আগরার হাসপাতাল সিল করল প্রশাসন
আগরার সেই বেসরকারি হাসপাতাল সিল করার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। হাসপাতালের মালিককে একটি ভিডিও ক্লিপে "মক ড্রিল" হিসাবে করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
আগরা : আগরার সেই বেসরকারি হাসপাতাল সিল করার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। এর পাশাপাশি হাসপাতাল মালিকের বক্তব্য সম্বলিত ভাইরাল ভিডিওটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতালের মালিককে ওই ভিডিও ক্লিপে "মক ড্রিল" হিসাবে করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে। তিনি নাকি দেখতে চেয়েছিলেন অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিলে কোন রোগী বেঁচে থাকেন, আর কে মারা যান !
আগরার হাসপাতালে অক্সিজেন বন্ধ করে মক ড্রিল হয়। আর তার জেরে ২২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তোলা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ৫ মিনিট অক্সিজেন বন্ধ করে মক ড্রিল চলে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিয়োয় ওই বেসরকারি হাসপাতালে মালিক অরিঞ্জয় জৈন-কে দেখা যায়নি। কিন্তু অভিযোগ, যে বক্তব্য শোনা গিয়েছে সেটা তাঁর। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ওইদিন(২৬ এপ্রিল) হাসপাতালে অক্সিজেনের তীব্র ঘাটতি ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের আত্মীয়দের বলেছিলেন। কিন্তু, কেউ তাতে রাজি হননি। তখন আমি মক ড্রিল জাতীয় কিছু করতে চেয়েছিলাম। কর্মীদের বলি, সেইসব রোগীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করুন যাঁদের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করা যাবে। এভাবে আমরা বুঝতে পারব, কে বেঁচে থাকবেন আর কে মারা যাবেন। সকাল ৭টা নাগাদ মক ড্রিল করা হয়। কেউ এটা জানতেন না। শীঘ্রই ২২ জন রোগীর শরীর নীল হয়ে যায়। তাঁদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। । তখনই আমরা বুঝতে পারি, অক্সিজেন না থাকলে এই ২২ জন আর বাঁচবেন না। আমরা বাকি ৭৪ জন রোগীর আত্মীয়দের বলি, অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করতে।"
যদিও সংবাদ সংস্থা ANI-কে অরিঞ্জয় জৈন বলেছেন, ২২ জন রোগীর মৃত্যুর খবর ভিত্তিহীন। এছাড়া তিনি যে কোনও রকম তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এদিকে আগরার জেলাশাসক প্রভু এন সিং ও উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে আগরার জেলাশাসক দাবি করেছিলেন, ওই ভিডিয়োয় যেমনটা রেকর্ড করা হয়েছে, সেরকম ওইদিন অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যু হয়নি। যদিও তদন্ত চলবে। তিনি বলেন, "প্রাথমিকভাবে আতঙ্ক এবং ঘাটতি ছিল। কিন্তু, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তার সমাধান করি। এই হাসপাতালে ২৬ ও ২৭ এপ্রিল সাতজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আরও আইসিইউ বেড আছে। ২২জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এটা সত্যি নয়। কিন্তু, আমরা তদন্ত করব।"