(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Covid-19 Third Waves : মানুষের গতিবিধির উপর নির্ভর করছে কোভিড ঢেউ, সতর্কবার্তা এইমসের চিকিৎসকের
মানুষের গতিবিধির উপর অনেকটা নির্ভর করছে কোভিড ঢেউ। রবিবার এমনই সতর্কবার্তা দিলেন এইমসেরই মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নীরজ নিশ্চল।
নয়া দিল্লি : আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যেই দেশে দেখা যেতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আগের দিনই এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তবে, মানুষের গতিবিধির উপর অনেকটা নির্ভর করছে কোভিড ঢেউ। রবিবার একথা জানালেন এইমসেরই মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নীরজ নিশ্চল।
ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। এপ্রসঙ্গে চিকিৎসক নিশ্চল বলেন, কোভিডের ঢেউ দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। এর মধ্যে একটি ভাইরাস-সম্পর্কিত, অন্যটি মানব-সম্পর্কিত। ভাইরাসের মিউটেশন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে যথাযথভাবে কোভিড বিধি মেনে চললে এই ঢেউ আটকানো যেতে পারে।
ভ্যাকসিনের উপকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে টিকা। এমনকী আপনি যদি সংক্রমিত হনও, তাহলেও আপনার শারীরিক জটিলতা যাতে না দেখা দেয় তা নিশ্চিত করবে ভ্যাকসিন।
এর আগে এইমসের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান পদ্মা শ্রীবাস্তব বলেন, প্রত্যেকেই বলছেন নিজের সুরক্ষা সরাবেন না। অন্যথা তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে। একশো বছর আগের ইতিহাস আছে। যে সময় স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর তৃতীয় ঢেউ দেখা গিয়েছিল। তাই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এনিয়ে আলোচনা চলছে, কারণ একাধিক ভ্যারিয়েন্ট এবং কোভিড বিধি না মানা।
গতকাল একই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছিল এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার গলায়। তিনি বলেছিলেন, "আনলক পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে, আবার কোভিড-বিধির অভাব দেখা দিয়েছে। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমরা কিছু শিক্ষা নিইনি মনে হচ্ছে। আবার বহু মানুষ জড়ো হচ্ছেন। দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে হয়ত কিছুটা সময় নেবে। কিন্তু, তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। খুব জোর আর একটু সময় লাগতে পারে। নতুন ঢেউ আসতে মূলত তিন মাস লাগতে পারে। কিন্তু, বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে কিছু কম সময়ও নিতে পারে। তাই আমাদের কড়া নজরাদির চালাতে হবে। এর পাশাপাশি কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। আগের বার আমরা একটা ভ্যারিয়েন্ট দেখেছিলাম যেটা বাইরে থেকে এসে এখানে বিশাল আকারে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর সংক্রমণ দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে হটস্পট এলাকায় কড়া নজরদারি প্রয়োজন। "