Ahmedabad Plane Crash: অন্যের দেহ পাঠানো হয়েছে, DNA মিলছে না, আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মারাত্মক অভিযোগ এল ব্রিটেন থেকে
Air India Plane Crash: মারাত্মক অভিযোগ উঠল এবার।

নয়াদিল্লি: আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভেঙে পড়া নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। আর সেই আবহেই মারাত্মক অভিযোগ উঠল। ব্রিটেনের দুই নিহত যাত্রীর পরিবার মারাত্মক অভিযোগ তুলল। তাদের দাবি, যে দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে, তা আসলে অন্যের। DNA পরীক্ষায় দেহ দু'টি অন্যের বলে প্রমাণিত হয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মিলছে না দেহে DNA নমুনা। (Ahmedabad Plane Crash)
গত ১২ জুন গুজরাতের আমদাবাদে ব্রিটেনের ৫৩ জন নাগরিক-সহ ২৪১ যাত্রীকে নিয়ে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। লন্ডন যাওয়ার পথে বিমানবন্দর ছাড়ার পর পরই ভেঙে পড়ে বিমানটি। বহু স্থানীয় মানুষও মারা যান দুর্ঘটনায়। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এই মুহূর্তে কাটাছেঁড়া চলছে। আর সেই আবহেই ব্রিটেন থেকে মারাত্মক অভিযোগ এল। (Air India Plane Crash)
ব্রিটেনের নিহত যাত্রীদের পরিবারের হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী জেমস হিলি। তিনি জানিয়েছেন, আমদাবাদ থেকে ব্রিটেনে ১২-১৩টি মৃতদেহ পাঠানো হয়। সেখানে DNA পরীক্ষা হলে দুই পরিবার জানতে পারেন, যে মৃতদেহ এসেছে ভারত থেকে, তা আসলে তাঁদের প্রিয়জনেরই নয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই মৃতদেহের DNA মিলছে না।
আমদাবাদে ভেঙে পড়া বিমানটি ছিল আমেরিকার বোয়িং সংস্থার। সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। জ্বালানি ভর্তি থাকায় নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিমানের যাত্রীদের মধ্য়ে বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে একজনই আশ্চর্যজনক ভাবে প্রাণে বেঁচে ফেরেন। কিন্তু লোকালয়ে থাকা অনেকেও দুর্ঘটনার শিকার হন।
দুর্ঘটনার পর আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালেই DNA পরীক্ষা হয় মৃতদের। সূত্রের খবর, DNA পরীক্ষা থেকে দেহ শনাক্তকরণ এবং দেহ হস্তান্তর, এসবে যুক্ত ছিল না এয়ার ইন্ডিয়া। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার কার্গো পরিষেবার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা Kenyon দেহগুলি ব্রিটেনে নিয়ে যায়।
কিন্তু এত বড় ভুল হল কী করে? এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু দেহ অদল বদল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তারা। এর আগে, মৃতদের পরিবারের তরফে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়। একরকম জোর করেই হাতে ক্ষতিপূরণ গুঁজে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে একাধিক পরিবার। ব্রিটেনের আইনি সংস্থা Stewarts পরিবারগুলির হয়ে লড়াই করছে। তারা জানিয়েছে, সাত তাড়াতাড়ি জটিল আইনি প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য করা হয় পরিবারগুলিকে। অন্যথায় ক্ষতিপূরণ মিলবে না বলে দেওয়া হয় হুমকিও।
Stewarts-এর তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, "আমাদের আত্মীয়দের বলা হয়, ক্ষতিপূরণ অগ্রিম চাইলে প্রশ্নোত্তর পর্ব সেরে ফেলতে হবে। কোনও রকম সাহায্য় ছাড়া, সঠিক তথ্য় দিয়ে সাহায্য় না করেই প্রশ্নপত্রে উত্তর লিখে দিতে বলা হয়। এমনটাও জানতে পেরেছি যে, প্রস্নোত্তর পর্ব না মেটালে ক্ষতিপূরণের টাকা মিলবে না বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করছে এয়ার ইন্ডিয়া।"
ওই সংস্থার দাবি, প্রশ্নোত্তর পর্বটি অত্যন্ত জটিল ছিল। এমন কিছু প্রশ্ন ছিল, সাধারণ ভাবে বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু তড়িঘড়ি তা সেরে ফেলতে বলা হয়। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির উত্তর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা Stewarts-এর। এয়ার ইন্ডিয়া যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, দ্রুত ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তাদের তরফে। যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।
বিমান দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে মৃতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা হয়। তৎক্ষণাৎ অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে অন্তবর্তীকালীন লেনদেনের মাধ্যমে ২৫ লক্ষ টাকা হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।























