এক্সপ্লোর
Advertisement
লকডাউনে মসজিদে ‘আজান’ চলবে, কিন্তু লাউডস্পিকারে নয়, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের
আজানের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, লাউডস্পিকার বা মাইক্রোফোন ব্যবহার ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, তা সংবিধানের ১৯ (১) (এ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
প্রয়াগরাজ: মসজিদে ‘আজান’ চলবে, কিন্তু লাউডস্পিকারে নয়। ‘আজান’ ইসলামের অঙ্গ হলেও লাউডস্পিকারের ব্যবহার নয়। শুক্রবার এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিএসপি সাংসদ আফজল আনসারি ও ফরুখাবাদের জনৈক সৈয়দ মহম্মদ ফয়সলের দায়ের করা পৃথক পিটিশনের ওপর এই রায় ঘোষণা করেছে বিচারপতি শশীকান্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অজিত কুমারকে নিয়ে গঠিত এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক বেঞ্চ।
রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গত ২৪ মার্চের জারি করা লকডাউন সংক্রান্ত গাইডলাইনের উল্লেখ করে আদালতে সওয়াল করে, বিধিনিষেধে সব ধর্মস্থান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আদালত এই যুক্তি খারিজ করে, জানিয়ে দেয়, মুয়াজ্জিনরা লকডাউনেও মসজিদের গম্বুজ থেকে আজান করতে পারেন, কেননা আজান ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তবে আজানের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, লাউডস্পিকার বা মাইক্রোফোন ব্যবহার ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, তা সংবিধানের ১৯ (১) (এ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। আদালত বলেছে, কাউকে তার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু শুনতে বাধ্য করা যায় না। একজনের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অধিকার আরেকজনের নেই। আজানের সময় লাউডস্পিকারের ব্যবহারে অন্যের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাই এটা তাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ, তার লঙ্ঘন। একজনের অধিকার কখনও আরেকজনেরটা কেড়ে নিতে পারে না বলে অভিমত জানান বিচারপতিরা। মসজিদের ‘মুয়াজ্জিনদের’ লাউডস্পিকার ছাড়া আজানের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
এই রায়ের ব্যাপারে সব জেলা ম্য়াজিস্ট্রেটকে সঠিক ভাবে অবহিত করতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকেও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। লকডাউনের বিধিভঙ্গ করছে, এই যুক্তিতে লাউডস্পিকার ছাড়া মসজিদ থেকে আজান দেওয়ায় কোনও বাধা না দিতে সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গাজিপুর, হাথরস, ফরুখাবাদ জেলা প্রশাসন আজান ও লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। বিএসপি সাংসদ আনসারি এতে আপত্তি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুরকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেন। তাঁরা নিষেধাজ্ঞা একতরফা, অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বলেন, মুয়াজ্জিনদের লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজানের অনুমতি দেওয়া হোক। আজান লকডাউনকে লঙ্ঘন করছে না, বরং তার ওপর নিষেধাজ্ঞার মানে সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে ধর্মাচরণের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
Advertisement