ABT Militant Arrested: অসম থেকে ফের গ্রেফতার আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের জঙ্গি
Assam STF: সূত্রের খবর, গ্রেফতারি এড়াতে পরিচয় বদলের চেষ্টা করেছিল গাজি রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এই জঙ্গিকে।
আবির দত্ত : অসম থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি। গ্রেফতার আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি গাজি রহমান। অসমের কোকড়াঝাড় থেকে গ্রেফতার জঙ্গি গাজি রহমান। অপারেশন প্রঘাত- এই এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে অসম এসটিএফ। একের পর এক আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের জঙ্গি গ্রেফতার হচ্ছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই নিয়ে অপারেশন প্রঘাতে মোট ১২ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গ্রেফতারি এড়াতে পরিচয় বদলের চেষ্টা করেছিল গাজি রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এই জঙ্গিকে। আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের বাকি সদস্যরা কোথায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
গতকাল গভীর রাতে ৩৫ বছর বয়সী গাজি রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের শুরু থেকেই এই সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম ছিল পুলিশের র্যাডারে। কিন্তু পলাতক ছিল এই ব্যক্তি। অবশেষে কোকরাঝাড় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে অসম এসটিএফ। ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল গাজি রহমান। বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তার, খবর পুলিশ সূত্রে। এর আগে যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, বিভিন্ন নথি, সন্দেহজনক বই, নগদ টাকা, মোবাইল আরও অনেক কিছু। এছাড়াও আইইডি তৈরির সরঞ্জাম এবং AK সিরিজের রাইফেলও উদ্ধার হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ছাড়া এগুলি তৈরি করা সম্ভব নয়। এই প্রশিক্ষণ পেতে কি এবিটি জঙ্গিরা পাকিস্তানে গিয়েছিল? নাকি বাংলাদেশেই হয়েছিল ট্রেনিং? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
আজ গাজি রহমানকে পেশ করা হবে আদালতে। হেফাজতে চাইবে অসম এসটিএফ। এর আগে ২ থেকে ৩ বার হানা দিয়েও গ্রেফতার করা যায়নি গাজি রহমানকে। এবারও পরিচয় গোপন করে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা করেছিল সে। তবে অবশেষে ধরা পড়েছে পুলিশের জালে। এর আগে গ্রেফতার হওয়া আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের ৪ জঙ্গির সঙ্গে বাংলা-যোগ পাওয়া গিয়েছিল। গাজি রহমানের সঙ্গেও এই ধরনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পাশাপাশি গাজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা খুবই জরুরি বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ, AK সিরিজের অত্যাধুনিক রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ কোথায় হয়েছিল, পাকিস্তানে নাকি বাংলাদেশে, এটাই জানার চেষ্টা চলছে।