Arvind Kejriwal Arrest:গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রিত্বে আইনি বাধা নেই কেজরিওয়ালের, মত আইনজীবীদের
Chief Minister After Arrest:আইনি বাধা নেই, কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে কতটা সম্ভব? অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে আপাতত মূল প্রশ্ন এটিই।
নয়াদিল্লি: আইনি বাধা নেই, কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে কতটা সম্ভব? অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে আপাতত মূল প্রশ্ন এটিই। আইনজ্ঞরা বলছেন, গ্রেফতারির পরও মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদে থাকতে আইনি কোনও বাধা নেই। কিন্তু এই অবস্থায় প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানো কার্যত অসম্ভব। সেক্ষেত্রে কী ভাবে পদে থাকবেন আম আদমি পার্টি প্রধান?
কী বলছে আইন?
বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পর পরই তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য অতিশী মারলেনা জানিয়ে দিয়েছিলেন, পদে থাকছেন কেজরিওয়ালই। প্রয়োজনে জেল থেকে সরকার চালাবেন তিনি। এই ঘোষণার পর থেকে জোর আলোচনা শুরু হয় আইনজীবীদের মধ্যে। প্রথম প্রশ্ন ছিল, গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা আইনি ভাবে সঙ্গত কিনা? দ্বিতীয় প্রশ্ন ওঠে, আইনি বাধা না থাকলেও বাস্তবে সেটা কতদূর সম্ভব? এদিন, বর্ষীয়ান আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ জানিয়ে দেন, গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে আইনি বাধা নেই। তাঁর কথায়, 'জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে, কোনও বিধায়ক অপরাধী প্রমাণিত হলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ বলে গ্রাহ্য হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর মন্ত্রিত্বও থাকে না। এর আগে এমন কখনও না ঘটলেও আইনের দিক থেকে তিনি জেলে থেকে কাজ করতেই পারেন।' যদিও অন্য এক অভিজ্ঞ আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের আবার মত, এক্ষেত্রে আইনে বাধা না থাকলেও প্রশাসনিক ভাবে এই কাজ করা অসম্ভব।
কী বলছে আইন?
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারায় কোনও জনপ্রতিনিধির বিধায়ক বা সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২ বছর বা তাঁর বেশি কারাদন্ড পেয়ে থাকেন, তা হলে অপরাধী প্রমাণ হওয়ার দিন থেকে তাঁর জনপ্রতিনিধিত্ব বাতিল বলে গণ্য করা হবে। শুধু তাই নয়। মুক্তির পর ছ'বছর পর্যন্ত এই পদ বাতিলের বিষয়টি বলবৎ থাকবে। তবে কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে এখনও অপরাধ প্রমাণ হয়নি। তাই আইনি দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে তাঁর বাধা নেই, মনে করছেন আইনজ্ঞরা। যদিও এভাবে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানোর কতদূর চালানো সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা ছাড়া, অভিজ্ঞ আইনজীবীদের আরও একটি অংশের মতে, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন, তাই সাংবিধানিক নৈতিকতা, সুশাসন ও সাংবিধানিক আস্থা রক্ষারও দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত রয়েছে। পদের মর্যাদা রক্ষার জন্য গ্রেফতারির পর ইস্তফা দেওয়া নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করছেন এই আইনজীবীরা। তবে কেজরিওয়ালের মুখ্য়মন্ত্রী থাকায় কোনও আইনি বাধা যে নেই, সে কথা মেনে নিয়েছেন সকলেই। উল্টো দিকে, আপও ছেড়ে কথা বলবে না। এখন কী করবেন 'আপ' প্রধান?
(তথ্যসূত্র:PTI)
আরও পড়ুন:'কর্মের পরিণতি !' কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে খোঁচা প্রণব-কন্যার