স্কুলের 'দাদা'ই...যৌনাঙ্গে ব্যথা নিয়ে মায়ের কাছে ভয়ে ভয়ে...বদলাপুরের শিউরে ওঠা ঘটনা
Badlapur school sexual abuse : এই বয়সে স্কুলের কেউ মানেই,বড় ভরসার পাত্র। এই ভরসাটাই কাল হল।
মুম্বই : লালসার শিকার শিশু। তাও কোথায় ? না স্কুলে ! যাকে 'সেকেন্ড হোম' হিসেবেই দেখা হয়। আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মাঝেই মহারাষ্ট্রের স্কুলে ২ শিশুকে যৌন নিগ্রহের মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরে উত্তাল হয়েছে বদলাপুর। যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও, এখানেও পুলিশ বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব করার অভিযোগ। নির্যাতিত দুই শিশুর বয়স এতটাই ছোট, যখন ব্যাড-টাচ, গুড-টাচের মতো ফারাক করে উঠতেও পারে না বোধ হয় তারা। এই বয়সে স্কুলের কেউ মানেই,বড় ভরসার পাত্র। এই ভরসাটাই কাল হল।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ২ সাফাইকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল এই মাসের শুরুতেই। তারপর থেকেই তারা শৌচালয় পরিষ্কার করে। অভিযোগ, স্কুলে যথেষ্ট মহিলা সাফাই কর্মী বা মহিলা অশিক্ষক কর্মী বা অ্যাটেন্ডেন্ট ছিলেন না, যার জেরেই ঘটে গেল এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা। অভিযোগ, একরত্তি দুই শিশুর সঙ্গে ১২ - ১৩ তারিখ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে স্কুলেরই শৌচালয়ে।
আরও পড়ুন, সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও কীভাবে এত দাপট? সঞ্জয়ের নাম জিজ্ঞেস করতেই দৌড় ASI-এর
প্রথমেই হয়ত দুজনের একজনও বুঝতে পারেনি, কতবড় অন্যায় ঘটে গিয়েছে তাদের সঙ্গে। পরে যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব হলে একটি শিশু মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়। তারপর বর্ণনা করে বলে, অক্ষয় শিন্ডে, যাকে তারা দাদা বলেই ডাকে, সেই শৌচালয়ে তাদের জামা খুলিয়ে দেয়। তারপর তাদের শরীরে অন্যায়-স্পর্শ করে। নিগৃহীত হয় দুই শিশু। নিজের মেয়ের মুখে এই কথা শুনে শিরদাঁড়ায় শীতলস্রোত বয়ে যায় বাবা -মায়ের। তারপর অন্য শিশুটির কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সঙ্গে ও একই ঘটনা ঘটেছে। তারপর ১৬ অগাস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, থানার অফিসাররা অভিযোগ নিতে ১২ ঘণ্টা দেরি করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
পরদিন প্রথমে স্কুলের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দুই নির্যাতিত শিশুর বাবা-মা । তারপর একে একে অনেকেই বিক্ষোভে যাগ দেন। এরপর আস্তে আস্তে তা জন-প্রতিবাদের আকার নেয়। পরিস্থিতির চাপে প্রিন্সিপাল সহ ৩ জনকে বরখাস্ত করে স্কুল। কিন্তু অভিভাবদের দাবি , অন্যায়কারীর মৃত্যুদণ্ড হোক। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। শুরু হয় রেল অবরোধ। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ বিক্ষোভ প্রশমিত করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। স্কুলের বাইরে এবং রেলস্টেশনে জড়ো হওয়া প্রতিবাদীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এতে বিক্ষোভকারীরা ক্ষেপে দিয়ে পাথর ছুড়তে শুরু করে। রেল লাইনে বিক্ষোভের ফলে রেল পরিষেবাও অনেকটা ব্যাহত হয়েছে।