(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bangladesh ISKCON: "পুলিশের সমর্থনেই এই কাজ", বাংলাদেশে ইসকন মন্দিরে হামলায় জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী
Bangladesh Iskon Temple Vandelised: "আমরা এখনও ভীত। সরকারকে আমাদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি।"
নয়া দিল্লি: হোলির দিনই বাংলাদেশে (Bangladesh News) ইসকনের রাধাকান্ত মন্দিরে হামলার অভিযোগ। মন্দিরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রায় ২০০ জনের ভিড় মন্দিরে হামলার অভিযোগ ওঠে। এদিকে এই ঘটনার সময় থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী রাসমণি কেশবদাস বলেছেন পুলিশে অভিযোগ করার পরও এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০ জন পুলিশ মোতায়েন হয়েছে এখানে।
সংবাদসংস্থা এএনআই প্রত্যক্ষদর্শীর মন্তব্য উল্লেখ করে জানিয়েছেন, "আমরা এখনও ভীত। সরকারকে আমাদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। আমরা ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি।"
Police supported them. They didn't want to listen to us. They asked us to leave the temple but it's ours. No arrests yet. Two of our people hospitalised, their condition is slightly better. Goons are still threatening us that they'll kill us if someone meets us: Rasmani Keshavdas
— ANI (@ANI) March 19, 2022
তিনি এও বলেন, মন্দির ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল অনেকজন। টাকাও দেওয়া হয় মন্দির ছেড়ে যাওয়ার জন্য। প্রত্যক্ষদর্শী রাসমণি কেশবদাস বলেছেন, "পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে সাহায্য করেছিল। পুলিশ আমাদের কথা শোনেনি। এখনও কারোকে গ্রেফতারও করা হয়নি। আমাদের দুজন লোক হাসপাতালে ভর্তি। গুন্ডারা এখনও আমাদের হুমকি দিচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলাকালীন ঢাকায় (Dhaka News) ইসকনের ওই মন্দিরে হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রায় ২০০ জনের একটি দল মন্দিরে হামলা চালায়। ভিতরে ঢুকে দেদার ভাঙচুর চলে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। হামলাকারীদের মন্দির চত্বর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জমির উপর মন্দিরটি অবস্থিত, সেটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। সম্প্রতি আদালতের রায় মামলাকারীর পক্ষে যায়। তার পর থেকে ওই জমির উপর নিজের মালিকানা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল এত দিন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকাই ঝামেলা বাধে।