Bangladesh News : ভারত ঘৃণা চরমে ! এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়দের লাথি মেরে বের করে দেওয়ার হুমকি
তারেক রহমান এদিন বলেন, 'একটা একটা করে ভারতীয়কে ধরে লাথি মেরে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে।'
কলকাতা : বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষের আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলছিল । ধীরে ধীরে তা দাবানলের চেহারা নিচ্ছে। ক্রমাগত ভারত-ঘৃণার বার্তা তীব্র হচ্ছে বাংলাদেশী মৌলবাদী নেতাদের কথায়। ভারতীয় জিনিস বর্জনের ডাক থেকে, কলকাতা ও সেভেন সিস্টার্স দখলের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা। আর এবার সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়দের লাথি মেরে বের করে দেওয়ার হুমকি দিলেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্মমহাসচিব তারেক রহমান।
ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষ উগরেই চলেছে বাংলাদেশ। তারেক রহমান এদিন বলেন, 'একটা একটা করে ভারতীয়কে ধরে লাথি মেরে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে। এছাড়া কোনও উপায় নেই।'
একাত্তরের যুদ্ধে যেদিন হেরেছিল পাকিস্তান। তারপরই জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বরসেই দিন। বিজয় দিবস। ভারতের সাহায্য় ছাড়া এই জয় কোনওমতে সম্ভবই ছিল না। অথচ, এখন সেই ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগার করে চলেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার গণ অধিকার পরিষদের যুগ্মমহাসচিব তারেক রহমান টার্গেট করলেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতের অর্থসাহায্যে তৈরি হওয়া স্পেশাল ইকোনমিক জোনকে। বললেন, ' আমি শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি কি এই বাংলাদেশের সন্তান? এরকম সাঙ্ঘাতিক কাজ করলেন কীভাবে? কীভাবে করলেন? আমরা কী পারব? ভারতে যে চিকেন নেক রয়েছে সেখানে গিয়ে একটা ইকনমিক জোন বানাতে? ওখান থেকে শুধুমাত্র যাওয়া আসার রাস্তা চাই, নেপাল, ভুটান, চিন যাব, সেটাই আমরা কখনও পাইনি। তাহলে এখানে আমরা ফেনি মীরসরাইয়ে কীভাবে এই অঞ্চলটা দিলাম? প্রিয় ভাইরা এভাবে হবে না। আমরা যেটা করছি সেটা ...আমাদেরকে ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে হবে। একটা একটা করে ভারতীয়কে ধরে লাথি মেরে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে। এছাড়া কোনও উপায় নেই।'
এভাবেই ভারতীয়দের সম্পর্কে চূড়ান্ত অসম্মানজনক মন্তব্য করেন তারেক রহমান। এর আগে BNP-র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি সরাসরি আক্রমণ করেন এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে। কুমন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে । তার ভারতীয় পণ্য় বর্জনের ডাক দিয়ে শাড়ি , চাদর পোড়ান। এরপর কী আরও ঘৃণার উদগীরণ বাকি আছে ? আর কত অতীত-বিস্মৃত হবে বাংলাদেশ ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।