Bangladesh News: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও NSA অজিত ডোভালের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অমিত শাহের
Amit Shah: যত সময় যাচ্ছে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন (Banladesh Unrest) বিরোধী আন্দোলনের জেরে সোমবারই দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে সেদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবস্থান করছে বলে খবর। এর মাঝেই প্রতিবেশী দেশের অচলাবস্থা নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত জোভালে (Ajit Doval) সঙ্গে জরুতি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)।
তিনজনের এই বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। গতকালে টাকা আন্দোলনকারীদের আন্দোলেন তীব্রতা একটা পর্যায় পৌঁছছে যে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপরই একে একে দেশ ছাড়তে থাকে আওয়ামি লিগ ও ছাত্র লিগের প্রচুর নেতা-নেতা। এদিকে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা ব্যস্থা আরও শক্তিশালী করে তোলেন ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনাগুলি। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতেই এবং সেখানে রাজনৈতিক হিংসা ছড়িয়ে যাতে পড়তে না পড়ে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরালো করা হয়। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে থেকে ভারতে যাতে কোনওরকম অনুপ্রবেশ না ঢোকে তার উপর কড়া নজরদারি চালাতে থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে তার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার লোকসভায় একটি বিবৃতি দিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশে আনুমানিক ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বসবাস করেন। যার মধ্যে ৯ হাজারের বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। বাংলদেশে কোটা আন্দোলন ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করতেই ঢাকায় স্থিত ভারতীয় কমিশন এদেশে পড়ুয়াদের ভারতে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মঙ্গলবার সকালে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে সেখানে পড়তে যাওয়া বেশির ভারতীয় পড়ুয়াই জুলাই মাসে হাই কমিশনের পরামর্শ দেশ ফিরে এসেছেন। বর্তমানে সেখানে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিবিদরা সমসময় যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের যেকোন রকম সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সংখ্যালুঘদের ওপর যে নারকীয় অত্যাচার হচ্ছে তার প্রতিও কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এস জয়শঙ্কর আরও জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। তবে যখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থির ওপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।