Bangladesh Text Books Revamped: মুজিবের সঙ্গে গুরুত্ব অন্যদেরও, বাদ গেলেন হাসিনা, পাল্টে গেল বাংলাদেশের পাঠ্যবই
Bangladesh News: বুধবার থেকে বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। সেই মতো পড়ুয়াদের নয়া পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা: ক্ষমতার রদবদলের পর থেকেই পরিবর্তনের ডাক উঠছিল। শুরু হয়েছিল পাঠ্যবইয়েও রদবদলের প্রক্রিয়াও। সেই মতো নতুন শিক্ষাবর্ষে তৃতীয় শ্রেণির একটি পাঠ্যবইয়ে ‘আমাদের চার নেতা’ নামে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে 'আমাদের জাতীয় পিতা' অধ্যায়টি বাদ পড়েছে পাঠ্যবই থেকে। পরিবর্তে 'আমাদের চার নেতা' নামের একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে মুজিবের পাশাপাশি নাম রয়েছে শের-এ-বাংলা একে ফজলুল হক, মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, হোসেন শহিদ সোহরাবর্দির। (Bangladesh Text Books Revamped)
বুধবার থেকে বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। সেই মতো পড়ুয়াদের নয়া পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে। সেই বইয়েই পরিবর্তন চোখে পড়ছে। তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে 'আমাদের চার নেতা' নামের একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে চার নেতা হিসেবে মুজিব, ফজলু, সোহরাবর্দি এবং মৌলানা ভাসানির নাম রয়েছে। 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়' বইয়ে তাঁদের ছবি ও কাজকর্মের সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'। (Bangladesh News)
অন্য শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে বেশ কিছু রদবদল ঘটানো হয়েছে। বাংলা এবং ইংরেজি বইয়েও কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, বাদও গিয়েছে কিছু বিষয়। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান জায়গা করে নিয়েছে বইয়ে। গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতিও জায়গা পেয়েছে নতুন বইয়ে। যুক্ত করা হয়েছে নতুন গল্প ও কবিতা।
পাঠ্যবইয়ে রদবদল ঘটাতে ৪১ জন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মোট ৪৪১টি বইয়ের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে দেখে সংযোজন ও বিয়োজন ঘটিয়েছেন তাঁরা। নতুন বইয়ে যে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধের অবহেলিত দেশনায়কদেরও বইয়ে জায়গা দেওয়া হবে, সেকথা আগেই জানানো হয়েছিল। সেই মতোই পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাঠ্যবইয়ে ব্যক্তিবিশেষের অতিবন্দনাও এড়ানো হয়েছে সচেতন ভাবেই।
পঞ্চম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়' বইয়ে 'আমাদের মুক্তিযুদ্ধ' অধ্যায়ের প্রথমেই ছবি রয়েছে মজলুম জননেতা মৌলানা ভাসানির। তাঁর পাশে রয়েছে মুজিবের ছবি। এর পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলি, এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছবি রয়েছে। আগে যে বই ছিল, তাতে ওই একই জায়গায় মুজিব-সব ওই চার নেতার ছবি ছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে 'পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা' নামের অধ্যায় রয়েছে। মুজিবের গ্রেফতাররি প্রসঙ্গ রয়েছে তাতে। বলা হয়েছে, '২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এর পর, ২৭ মার্চ মুজিবও স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়'। আগের বইয়ে লেখা ছিল, 'গ্রেফতারির আগে ২৬ মার্চ সকালে মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তি যুদ্ধ'।
চতুর্থ শঅরেণির পাঠ্যবইয়ে '১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ' অধ্যায়ে ৭ মার্চের মুজিবের ভাষণের ছবি রয়েছে। পাশাপাশি, জিয়াউরের স্বাধীনতা ঘোষণার ছবিও রয়েছে বইয়ে। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে কিছু ভুলও ধরা পড়ে। অনলাইন মাধ্যমে সেই ভুল সংশোধন করা হয়। এতদিন পাঠ্যবইয়ের শেষের প্রচ্ছদে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং উদ্ধৃতি থাকত। সেগুলি বাদ দিয়ে চিরন্তন বাণী রয়েছে।