(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
বানিহালে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পুলিশের বরখাস্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চার্জশিট এনআইএ-র
হিজবুল উল মুজাহিদেনের জঙ্গির বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিট দায়ের হল এমন একজন বিরুদ্ধে, যে আগে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল ছিল। জম্মু কাশ্মীরে বানিতালে এই হামলা হয়েছিল । ২০১৯-এর সালের মার্চ মাসে এই হামলা হয় । তদন্তের ভার হাতে নেয় এনআইএ।
আবীর দত্ত, কলকাতা: হিজবুল উল মুজাহিদেনের জঙ্গির বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিট দায়ের হল এমন একজন বিরুদ্ধে, যে আগে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল ছিল। জম্মু কাশ্মীরে বানিতালে এই হামলা হয়েছিল । ২০১৯-এর সালের মার্চ মাসে এই হামলা হয় । তদন্তের ভার হাতে নেয় এনআইএ।
চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে নভেদ মুস্তাক শাহ ওরফে নভেদ বাবু ওরফে বাবুর আজমের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি,১২১, ১২১এ,১২২,৩০৭ ধারা, এছাড়াও বিস্ফোরক সংক্রান্ত আইন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের ১৬,১৮,২০,২৩,৩৮, ৩৯ ধারায় মামলা ছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ।
জম্মু কাশ্মীরের বাণিতাল জেলার তেহার অঞ্চলে সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর এই হামলা হয়েছিল। বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে হামলা চালিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৩০ মার্চের এই হামলা লক্ষ্য ছিল নিরাপত্তা কর্মীদের খুন করা এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা। এই ঘটনা তদন্তেই বানিহাল থানাতে একটি কেস হয় এফআইআর করা হয় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ।
এনআইএ এর আগে এই ঘটনায় ছয়জন হিজবুল জঙ্গির নামে চার্জশিট দায়ের করেছিল। এই হামলার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ যে স্পষ্ট, তা জানানো হয়েছিল চার্জশিটে।
নাভেদ মুস্তাক শাহ ওরফে নাভেদ বাবু জম্মু-কাশ্মীর থানার একজন প্রাক্তন কনস্টেবল। তাকে ২০১৭-তে তার কাছে থাকা বন্দুক এবং গুলি বাজেয়াপ্ত করে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তখন তিনি বাগদম অঞ্চলে এফসিআই গার্ড হিসেবে কাজ করত। চাকরি চলে যাওয়ার পর এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে নাম লেখায় এবং এরপর হিজবুল মুজাহিদীন এর সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে।
তদন্তে উঠে এসেছে. নাভেদ সরাসরি এই হামলার ছক কষে এবং তারপরে বাস্তবায়িত করার জন্য যা যা করণীয় সবটাই করেছিল। সিআরপিএফ কনভয় যে আসবে সেটা অবশ্যই আগে থেকেই জানত। শুরুর দিকে বানিহাল এসে উপস্থিত ছিল রিয়াজ আহমেদ নাইকো নামে একজন জঙ্গির সঙ্গে। এছাড়া ওখানে উপস্থিত ছিল রেইস আহমেদ খান এবং ডক্টর সাইফুল্লাহ মীর। এদের এনকাউন্টার মৃত্যু হয়।
সাহিল আব্দুল্লাহ ভাট, আদিল বাসির শেখ, যুবের আহমেদ বাণী জাদা সরাসরি এই চক্রান্তের পিছনে রয়েছে। তারাই তৈরি করেছিল আইইডি বিস্ফোরক।
ইতিমধ্যে মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই এই ঘটনায় সাজা ঘোষণা হবে।