Diwali 2025 : দুধ, পনির, মিষ্টি...সব ভেজাল! দীপাবলির আগে বাজারে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার খাবার নষ্ট করলেন তদন্তকারীরা
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৫,৪৬৪টি জায়গা পরিদর্শন করে। ৩,৩৬৯টি দোকানের খাবারের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

লখনউ: দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব, উৎসব উপহার ও ভালবাসা বিনিময়ের, সেই সঙ্গে পেটপুজোরও রমরমা। আলোর উৎসবের আগে উত্তরপ্রদেশ সরকার দীপাবলির আগে খাবারে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। বাজার থেকে উদ্ধার হয়েছে নিম্নমানের , নকল খাবার -দাবার, যা অস্বাস্থ্যকর তো বটেই, ক্ষতিকরও। রাজ্যজুড়ে ৪.৭৬ কোটি টাকার ৩,৩৯৪ কুইন্টালেরও বেশি ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছেন আধিকারিকরা। খাদ্য নিরাপত্তা ও ওষুধ প্রশাসন (FSDA) ৮ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দীপাবলিপূর্ব বিশেষ অভিযানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৫,৪৬৪টি জায়গা পরিদর্শন করে। ৩,৩৬৯টি দোকানের খাবারের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার রোশন জ্যাকব খাদ্যে ভেজাল রোধে এই অভিযান চালান। দিকে দিকে পৌঁছে যায় একাধিক অফিসাররা। নামি-দামি দোকান থেকেও ধরা পড়ে কাঁড়ি কাঁড়ি পনির, দুধ ইত্যাদি।
লক্ষাধিক টাকার খাদ্য বাজেয়াপ্ত
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে উৎসবের সুযোগ নিয়ে যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্য-সুরক্ষার নিয়ে প্রতারণা করছে , তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। দীপাবলি এবং ছট উৎসবের মরশুমে তাই জোরদার তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার, মথুরায়, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে ভেজাল ধরা পড়ার পর চারটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং ছয়টি দুগ্ধজাত পণ্যের লাইসেন্স আটকানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আলিগড়ে ১৭.৩৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৯,৫০০ কেজি ভেজাল খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করা হয়েছে। ২৩.৫৫ লক্ষ টাকা দামের ৪,১৮৮ কেজি খাদ্যদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই খাবারগুলি খেলে মানুষের স্বাস্থ্যের বড় ক্ষতি হতে পারে দাবি তদন্তকারীদের। চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই, কতটা ভেজাল মেশানো এই সব খাবারে।
খাদ্যপণ্যের খবর জানাতে ফোন করুন
যে কোনও সন্দেহজনক বা ভেজাল খাদ্যপণ্যের খবর জানাতে ১৮০০-১৮০-৫৫৩৩ নম্বরে কল করে অথবা ৯৭৯৩৪২৯৭৪৭ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়ে অনুরোধ করেছে।
বাজি বাজারে পরিদর্শন
এদিকে, কলকাতায় বাজি বাজারে পরিদর্শন করলেন পুলিশ কমিশনার। কলকাতা পুলিশের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাজারে ১৪০৩ টি বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার বাজি বিক্রি করা যাবে।সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা, তা ঘুরে দেখলেন সিপি। নিয়ম মেনে ২ টি দোকানের মাঝে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখেন সিপি।






















