এক্সপ্লোর
Advertisement
৭৪০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত চেন্নাই বন্দরে, বেইরুট বিস্ফোরণের আতঙ্কে দ্রুত সরানোর সিদ্ধান্ত
কয়েকটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যের চালান দিতে ই-নিলাম চলে নিয়মিত। আতশবাজি এবং বিভিন্ন রকম সার তৈরিতে ব্যবহারের জন্যই রাসায়নিকের এই বিপুল চালানটি আসে। এটি বাজি-প্রস্তুতের জন্য খ্যাত শিবকাশী এলাকার একটি বড় গ্রুপের জন্য আনা হয়েছিল। ২০১৫ সালে চেন্নাই বন্দর থেকে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর থেকে বিস্ফোরক রাসায়নিকের ওই বিপুল সম্ভার ওখানেই পড়ে আছে।
নয়াদিল্লি:লেবাননের রাজধানী বেইরুটে সম্প্রতি যে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে এখনও পর্যন্ত ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে চার হাজারের উপর মানুষ। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। লেবানন সরকারের প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, বন্দরে অরক্ষিত অবস্থায় মজুত করা ছিল ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। আর তা থেকেই এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছে। আর ওই ভয়ানক কান্ডের পরই বিশ্বের অন্যান্য নানা দেশের মতোই আতঙ্ক কপালে ভাঁজ ফেলেছে ভারতের।
তামিলনাড়ুর রাজধানী তথা বন্দর শহর চেন্নাইয়ে ৭৪০ টনের মতো এই বিস্ফোরক রাসায়নিকের মজুত রয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। এই বিস্ফোরক আপাতত স্থানীয় কাস্টমস বিভাগের হেফাজতে জমা রয়েছে।
কয়েকটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যের চালান দিতে ই-নিলাম চলে নিয়মিত। আতশবাজি এবং বিভিন্ন রকম সার তৈরিতে ব্যবহারের জন্যই রাসায়নিকের এই বিপুল চালানটি আসে। এটি বাজি-প্রস্তুতের জন্য খ্যাত শিবকাশী এলাকার একটি বড় গ্রুপের জন্য আনা হয়েছিল। ২০১৫ সালে চেন্নাই বন্দর থেকে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর থেকে বিস্ফোরক রাসায়নিকের ওই বিপুল সম্ভার ওখানেই পড়ে আছে। কিন্তু বেইরুটের ঘটনার পর যে সতর্কতা জারি হয়েছে তারই ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে চেন্নাই বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তার দিক দিয়ে বিচার করে বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো আর ওখানে ঠিক হবে না।
চেন্নাই বন্দরের জনসংযোগ বিভাগের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, তাঁরা হিসেব করে, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন যে চেন্নাই বন্দর লাগোয়া গো-ডাউনে ৩৬টি বিরাট কন্টেইনার রাখা রয়েছে। আর এর প্রতিটিতে গড়ে ২০ মেট্রিক টনের মতো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জমা আছে। সেগুলো কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট বহুদিন আগেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।’
কাস্টমস বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ‘অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটগ রাখা হয়েছে সাত্তভা কন্টেইনার ডিপোতে।এগুলি একদা অবৈধভাবে আমদানি করেছিল শ্রী আম্মান কেমিক্যালস। এগুলি বন্দর খুব শীঘ্রই সরিয়ে ফেলা হবে।’ আটক হওয়া রাসায়নিকের বিশাল চালানটি ছাড় দেওয়ায় দেরি হওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বিষয়টি আদালতে গিয়েছিল এবং গত বছরের নভেম্বরে তাঁরা রুল জারি করেছিলেন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
খবর
খবর
Advertisement