Cyclone Jawad: ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই রাজ্যের উপকূলে, কাল ভারী বৃষ্টি বেশ কিছু জেলায়, বার্তা আবহাওয়া দফতরের
Cyclone Jawad: আজ পূর্ব মেদিনীপুর (west midnapore), দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (south 24 pargana) ভারী বৃষ্টি। কাল দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি।
কলকাতা: আগামীকাল দুপুরে পুরীর (puri) কাছ দিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ। পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই। ভোর ৪টে থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হাওয়ার গতি হবে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিমি। আজ পূর্ব মেদিনীপুর (west midnapore), দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (south 24 pargana) ভারী বৃষ্টি। কাল দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি। ৬ ডিসেম্বর নদিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হবে।
ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) জওয়াদের সঙ্গী অমাবস্যার ভরা কটাল। দুইয়ের জেরে পশ্চিমবঙ্গের (WestBengal) উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের (Tidal Wave) আশঙ্কা। বাঁধ উপচে ঢুকতে পারে জল। এদিকে, ক্রমশ এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ। আজই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhrapradesh) ও দক্ষিণ ওড়িশা (Orissa) উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। তারপর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূল বরাবর সরে আগামীকাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে।
আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department) সূত্রে খবর, এরপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলার দিকে হলেও, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জওয়াদের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। পুরীর কাছে পৌঁছেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় ঢোকার আগে তা পরিণত হবে নিম্নচাপে। সেই নিম্নচাপ সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবে। তবে এর প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে। আগামীকাল কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মত্স্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের সমুদ্রতটে পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। স্পিডবোটের মাধ্যমে মাইকে প্রচার করে পুলিশ আধিকারিকরা পর্যটকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেওয়ার কাজ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি নদী এবং সমুদ্র উপকূলেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য নদী এবং সমুদ্রে কোনওরকম জলযান, মাছ ধরার ট্রলার বা কোনও মানুষ যেন না থাকে। এছাড়াও সুন্দরবন উপকূল এলাকার বিভিন্ন দ্বীপের ফ্রি পরিষেবার উপরেও কড়া নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভোটদানে বাধা দিলে বহিষ্কার, পুরভোটের আগে তৃণমূল কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেকের
/p>