Malda: মালদায় পুলিশের জালে ভুয়ো সিভিক ভলান্টিয়ার
Malda News: সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামে ভালুকা ফাঁড়ি ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে সামনে। ধৃতকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
করুণাময় সিংহ, মালদা: ব্যাঙ্কে ডিউটি করতে এসে পুলিশের জালে ভুয়ো মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশ জানতে পেরে চক্ষু চড়ক গাছ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে (nationalised bank) ডিউটি করতে এসে এবারে পুলিশের জালে ভুয়ো সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা (Harishchandrapur Thana) এলাকার করিয়ালি বাজার এলাকায়। ভালুকা ফাঁড়ির ইনচার্জ ঝোটন প্রসাদের কানে খবর পৌছাতেই চক্ষু চরক গাছ পুলিশের। সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামে ভালুকা ফাঁড়ি ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে সামনে। ধৃতকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ওই মহিলার নাম মাঞ্জেরা খাতুন(২৫)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা (Harischandrapur Thana) এলাকার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিলাল এলাকায়। ওই মহিলাকে ব্যাঙ্ক থেকে হাতে নাতে পাকড়াও করে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ। আপাতত এই মহিলাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। গোটা ঘটনা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় জুড়ে।
এর আগে শিলগুড়িতে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। জানা গিয়েছে, অসহায় পরিবারের বেকার যুবক যুবতীদের পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছিল ভুয়ো প্রশিক্ষণ। এরপরই খবর পেয়ে ৩ জনকে গ্রফতার করা হয়।
ঠিক কী হয়েছিল?
দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বেকার যুবক, যুবতীদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ির সেবক, দুধিয়া, দার্জিলিং এর পাশাপাশি শহরে বাঘাযতিন কলোনির নদীর পাশে পুলিশের পোশাক পরে চলছিল প্রশিক্ষণ শিবির। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধাননগর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। এরপরই ২ জন পুরুষ ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর পুলিশের পোশাক, টুপি, বেল্ট। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩২ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন।
শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানা সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসিপি ওয়েস্ট কুনার ভূষণ সিং জানান, এই ধৃতরা বালুরঘাটের বাসিন্দা। বেশ কয়েক মাস ধরে দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলছিল এই প্রতারণা চক্র। গরিব ও অসহায় পরিবারের যুবক যুবতীদের পুলিশে চাকরি দেওয়া নামে টাকা নিয়ে এই এই চক্র সক্রিয় ছিল। তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর এর পেছনে আর কেউ যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ পাশাপাশি ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে এসওজি টিমকেও।