Viral News: 'মেট্রো শহরে জীবন এত পলকা কেন ?' মাসে দেড় লাখ টাকা বেতন পেয়েও হিমশিম খাচ্ছেন; তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর পোস্ট ভাইরাল
Techie's Viral Post: শৈশবের কথা মনে করেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে প্রাণবন্ত জীবনযাপনের কথা ভাবতেন তখন।

বেঙ্গালুরু : চাল-ডাল থেকে সবজি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। সংসার চালাতে অনেকেরই নাস্তানাবুদ অবস্থা হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম এতই বাড়ছে যে শুধু কম রোজগারের মানুষজনই নন, পর্যাপ্ত রোজগারের মানুষজনকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী Indian Workplace-এ নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। আপাতদৃষ্টিত আরামদায়ক তাঁর জীবনের কঠিন বাস্তব কথা জানিয়েছেন তিনি।
মাসে দেড় লাখ টাকা বেতন। তা সত্ত্বে তাঁর মতে, মেট্রো শহরে জীবন খুব "পলকা" এবং স্থায়িত্বের অভাব। মজারছলে পোস্টে তিনি লিখেছেন, "মেট্রো শহরে জীবন কেন এত পলকা মনে হয় ?" নিজের আশঙ্কার কথাও শেয়ার করেছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, চাকরি খোয়ালে শীঘ্রই তাঁর সঞ্চয় শেষ হয়ে যাবে।
তিনি লেখেন, "আমি বছর ২৬-এর পুরুষ। বেঙ্গালুরুতে থাকি। আমার বছর ২৬-এর হবু স্ত্রীর সঙ্গে। মাসে আমি দেড় লাখ টাকা রোজগার করি। আমার পরিবার আছে। আমার নিজের শহরে একটি EMI আছে যেটা আমাকে চালাতে হয়। প্রতি মাসে আমি কিছু টাকা সঞ্চয় করি। বলতে গেলে ৩০-৪০ হাজার টাকা।"
শৈশবের কথা মনে করেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে প্রাণবন্ত জীবনযাপনের কথা ভাবতেন তখন। সেই সময় ভালো রোজগার, সুন্দর একটা সম্পর্ক এবং শহরের প্রাণবন্ত দিকে নিজেকে মজিয়ে রাখার কল্পনা করতেন। কিন্তু, এখন তিনি পুরোপুরি বাস্তবের মাটিতে। তিনি এই অনুভূতিটিকে "পলকা ফুলের পাত্র"-র মতো অনিশ্চিত বলে বর্ণনা করেছেন।
ভালো রোজগার করা সত্ত্বেও, মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে সক্ষম হন তিনি। এর মধ্যে তিনি পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং ঋণ পরিশোধ করেন। বাবা-মায়ের দেখভালের পাশাপাশি, বেঙ্গালুরুর বাড়তে থাকা জিনিসপত্রের মূল্য। সবমিলিতে বাস্তবের মাটিতে ওই যুবক।
তাঁর পোস্ট দেশজুড়ে বহু যুবকের মেট্রো শহরে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার অভিজ্ঞতার কথাকে সামনে এনে দিয়েছে। শহরতলির জীবনযাপন, আর্থিক নিরাপত্তা ও স্বপ্নের প্রকৃত মূল্য...ইত্যাদি চোখা চোখা বিষয় চর্চায় চলে এসেছে। তাঁর পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আয় সম্পদ নয়। এটা একটা দুঃখজনক উপলব্ধি। যাঁরা নিরাপদ থাকতে পারেন তাঁদেরই বংশ পরম্পরায় সম্পদ থাকে। বাকিদের উত্তাপের মুখোমুখি হতে হয়।" অপর একজন লিখেছেন, "প্রাপ্তবয়স্কের জীবনে তোমাকে স্বাগত। ক্রমাগত উদ্বেগ এবং অর্থের চিন্তাই নিয়ম।"
আরও এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "তোমার কষ্টটা বুঝতে পারছি। দেখো যদি আয়ের আরও কোনও উৎস পাও। যেমন- তোমার স্ত্রী চাকরি করতে পারে। বা, তুমি অন্য কোনও ব্যবসা শুরু করতে পারো। আমি জানি, এই বিষয়গুলো কষ্টকর। কিন্তু আজকালকার দিনে কারো একটা রোজগারের উপর নির্ভরশীল থাকা উচিত নয়।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
