Biplab Deb Resignation as CM: ৫০ মাসের ইনিংসে বহুবার বেফাঁস, ফিরে দেখা বিপ্লবের 'বিতর্কিত' মন্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ৪ বছর ২ মাসের জমানায় বারবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব দেব! যেমন বিপ্লব দেব দাবি করেছিলেন, মহাভারতের সময়েই ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল।
আগরপাড়া: মেয়াদ শেষের ১০ মাস আগেই কুর্সি ছাড়তে হল ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে (Biplab Deb)। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৫০ মাসের ইনিংসে বহুবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি (BJP)।
রাজনৈতিক জীবনে রকেটগতিতে উত্থান। জিম ইনস্ট্রাকটর থেকে একেবারে মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে। এ হেন বিপ্লব দেবই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে শনিবার আচমকা ইস্তফা দিলেন!
বেফাঁস মন্তব্য: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ৪ বছর ২ মাসের জমানায় বারবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব দেব! যেমন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (Tripura CM) হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই বিপ্লব দেব দাবি করেছিলেন, মহাভারতের সময়েই ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল। সে কারণেই তো সঞ্জয় হস্তিনাপুরে দাঁড়িয়ে কুরুক্ষেত্রের সমস্ত বর্ণনা দৃষ্টিহীন ধৃতরাষ্ট্রকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে শোনাতে পেরেছিলেন।
বৈপ্লবিক মন্তব্য বলে কটাক্ষ: অনেকেই বৈপ্লবিক মন্তব্য বলে কটাক্ষ করেন। তাতে অবশ্য ত্রিপুরার সদ্য পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী দমেননি। গত বছর বিপ্লব দেব বলেন শুধু ভারতেই নয়, শ্রীলঙ্কা, নেপালেও সরকার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে অমিত শাহের (Amit Shah)।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়েও বেফাঁস মন্তব্য শোনা যায় তাঁর গলায়। কয়েক মাস আগে, আদালত অবমাননা নিয়ে তাঁর মন্তব্য সমালোচনার ঝড় ওঠে।
কী বললেন বিপ্লব: তাঁর কথায়, অনেকে বলেন আদালত অবমাননা হয়ে যাবে। আদালত অবমাননার দায়ে কার জেল হয়েছে! আমি আছি তো। জেলে গেলে আমি আগে যাব! এটা এত সহজ নয়। যিনি সরকার চালান তাঁর হাতে সব ক্ষমতা। জেলে যাওয়ার জন্য পুলিশ চাই। পুলিশ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে। পুলিশ বলবে, আমরা কাউকে খুঁজে পাইনি। আদালত কী করবে?
এত বিতর্কের পরেও থামেনি ত্রিপুরার সদ্য পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী। একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বিপ্লব দেব পরামর্শ দেন, চাকরির জন্য রাজনীতিকদের পেছনে ছুটবেন না। তার বদলে গরু কিনে দুধের ব্যবসা করুন। কিংবা পানের দোকান দিন। ১০ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে যাবেন।
আরও একটি সরকারি কর্মসূচিতে বলেন, হাঁস জলে সাঁতার কাটলে পুকুর, ঝিলে অক্সিজেনের মাত্রা আপনাআপনিই বেড়ে যায়। সেই বাড়তি অক্সিজেনটা জলজ প্রাণীদের কাজে লাগে। মাছেরা শ্বাসের জন্য আরও অক্সিজেন পায়।