(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kolkata Fake COVID-19 Vaccination : ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি শুভেন্দুরও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলেনতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
কলকাতা : ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এনিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলেনতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব কলকাতা পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয়ে একাধিক জায়গায় ভুয়ো ক্যাম্প করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, কোভিশিল্ডের নামে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ঘটনা কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে গেল? ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে কারও মৃত্যু হলে তা কেন্দ্রের ঐতিহাসিক গণটিকাকরণ অভিযানের পক্ষে খারাপ দৃষ্টান্ত হবে বলেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও, অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের ছবির কথা উল্লেখ করে, প্রভাবশালী মহলে তাঁর যাতায়াত ছিল বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের অঙ্গুলি হেলনে কলকাতা পুলিশের তদন্ত পরিচালিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু।
এদিকে ভ্যাকসিন প্রতারণাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ তিনি বলেন, বড় বড় লোকেরা যুক্ত আছেন। ধরা পড়ে গেছেন। তাই এখন নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে রেখে টিকা নিয়ে ব্যাবসা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্ভাগ্য, কোনও ঘটনা ঘটলে সিআইডি তদন্তের নামে সেটা চেপে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, এটাও সেরকম চেষ্টা করা হবে। সারা বিশ্বের সামনে আমাদের মুখ পড়ে গেছে। তাই আমি চাইছি, সিবিআই তদন্ত হোক। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। যে মানুষগুলি নিয়েছেন সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত। দোষীদের কঠোর সাজা দেওয়া উচিত।