Rajkummar Rao: ভোট করাতে ভরসা সেই ‘নিউটন’, নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় আইকন’ রাজকুমার
Election Commission: ২০২৩ সাল শেষ হতে বাকি মাত্র দু'মাস। এই দু'মাসে দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, মিজোরাম, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং রাজস্থানে।
নয়াদিল্লি: অভিনয় ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন আগেই। এবার অনন্য সম্মান পেতে চলেছেন অভিনেতা রাজকুমার রাও (Rajkummar Rao)। জমকালো অনুষ্ঠানে হাতে ট্রফি ধরিয়ে দেওয়া নয়, তাঁকে 'জাতীয় আইকন' ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানানো হল। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে বলে জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
২০২৩ সাল শেষ হতে বাকি মাত্র দু'মাস। এই দু'মাসে দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, মিজোরাম (৭ নভেম্বর), ছত্তীসগঢ় (৭, ১৭ নভেম্বর), মধ্যপ্রদেশ (১৭ নভেম্বর), তেলঙ্গানা (৩০ নভেম্বর) এবং রাজস্থানে (২৫ নভেম্বর)। ওই পাঁচ রাজ্যে মোট ভোটদাতার সংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লক্ষ। তার আগেই জাতীয় আইকন হিসেবে রাজকুমার রাওয়ের নাম ঘোষণা করা হল নির্বাচন কমিশনের তরফে।
রাজকুমারকে 'জাতীয় আইকন' বেছে নেওয়ার নেপথ্যে নির্বাচন কমিশন কোনও কার্যকারণ না দেখালেও, এক্ষেত্রে তাঁর অভিনীত 'নিউটন' ছবিটির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজকুমারের অনুরাগীরা। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় 'নিউটন'। ছবিতে ছাপোষা সরকারি কর্মচারি নূতনকুমার ওরফে 'নিউটনে'র চরিত্রে অভিনয় করেন রাজকুমার, যাঁর উপর উত্তর ভারতের জঙ্গলমহলে ভোট করানোর দায়িত্ব পড়ে।
আরও পড়ুন: Ram Mandir: পুরোহিত পদের প্রশিক্ষণ পর্বেই এই টাকা! রাম মন্দিরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কী কী?
ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাকে কেন্দ্র করে গল্প বোনা হয় 'নিউটন' ছবির। মাত্র ৭৬ জন আদিবাসীর ভোটগ্রহণ করতে হিমশিম খেতে হয় 'নিউটন'কে। নামে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা বলে পরিচিত হলেও, যত সময় এগোয়, 'নিউটন' বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি একেবারে উল্টো। অশ্বাসবাণী দেওয়া সত্ত্বেও ভোট দিতে আসার সাহস পান না সেখানকার আদিবাসী বাসিন্দারা। সব দেখেও নিরুত্তাপ সেনা। এমনকি ভোটাধিকার সম্পর্কে অবগত নন স্থানীয় মানুষজনও। কেন ভোট দেবেন, টাকা মিলবে কি, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
কিন্তু শিক্ষিত 'নিউটন' এই অপারগতা মেনে নিতে পারেন না। গণতন্ত্রে ভোট না হলে, গণতন্ত্রের অপমান হয় বলে অনুধাবন করেন তিনি। গণতন্ত্রের অপমান হয় বলে অনুধাবন করেন 'নিউটন'। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভোট করাতে উদ্যোগী হন। নূতনকুমার কেন 'নিউটন' হলেন, তার ব্যাখ্যাও রয়েছে ছবিতে। না, বিজ্ঞান বা প্রবাদপ্রতিম বিজ্ঞানীর কোনও ভূমিকা নেই ছবিতে বরং সম্পূর্ণ পরিবর্তনের দূত, সম্ভব-অসম্ভবের মধ্যেকার বিভেদ ঘুচিয়ে দিতে সক্ষম এক ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে 'নিউটনে'র চরিত্রকে।