Bagda Bombing Case: বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়ির সামনে বোমা মারার অভিযোগ, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ?
উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের বাড়ির সামনে থেকে সোমবার দুপুরে দুটি কৌটা উদ্ধার করে বাগদা থানার পুলিশ ।
সমীরণ পাল, বাগদা : বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়ির সামনে বোমা মারার অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। এছাড়া সোমবার দুপুরে সন্দেহজনক দুটি কৌটা উদ্ধার ঘিরে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে ।
উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের বাড়ির সামনে থেকে সোমবার দুপুরে দুটি কৌটা উদ্ধার করে বাগদা থানার পুলিশ । গোপা রায়ের দাবি, তার আগের দিন রাতে একটি বোমার আওয়াজ পান তাঁরা। তার পরে বাগদা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে বাগদা থানার পুলিশ আসে।
সোমবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই গোপা রায়ের বাড়ির পরিচারিকা জানান, একদিন আগে দুটি কৌটা বাড়ির গেটের সামনে পড়েছিল। সেগুলিকে পাশের জঙ্গলে ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি । এর পরে বাগদা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দুটি কৌটা উদ্ধার করে ।
গোপা রায় জানান, কিছুদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বাগদা আঞ্চলিক সভাপতি ও বাগদা তৃণমূল যুব সভাপতির সঙ্গে একটি নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিবাদ হয় তাঁর। সেই বিবাদের কারণেই তাঁর বাড়ির সামনে বোমা মারা হতে পারে বলে তাঁর অভিযোগ । যদিও এবিষয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি তিনি।
এই বিষয়ে বাগদা বিধানসভা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তরুণ ঘোষ বলেন, নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের কয়েকজন এমন পরিবেশ তৈরি করেছেন। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে ।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বাগদা আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনজিৎ সরদার।
অন্যদিকে বাগদা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি কিঙ্কর মণ্ডলের দাবি, এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ। যদি বোমা পড়ে থাকে তাহলে উপযুক্ত তদন্ত করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন রাখছি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ।
এই বিষয়ে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য অমৃত লাল বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোল । রাজ্যের সর্বত্র যেমন চলছে, বাগদাতেও তেমনই হয়েছে । এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হওয়া উচিত ।