Armstrong Hacked to Death: খাবার ডেলিভারি বয় সেজে হামলা! চেন্নাইয়ে জাতীয় দলের সভাপতিকে কুপিয়ে খুন
Tamil Nadu News: চেন্নাইয়ের পেরাম্বুরে বাড়ি আর্মস্ট্রংয়ের। শুক্রবার বাড়ির কাছেই মোটর সাইকেলে সওয়ার ছয় দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয় বলে জানা গিয়েছে।
চেন্নাই: তামিলনাড়ুতে রাজনীতিককে কুপিয়ে খুন। রাজ্যে বহুজন সমাজ পার্টির সভাপতি আর্মস্ট্রংকে কুপিয়ে খুন করা হল। চেন্নাইয়ে বাড়ির কাছেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ছ'জন দুষ্কৃতী মিলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপায় বলে খবর। প্রতিহিংসাবশত আর্মস্ট্রংকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। (Armstrong Hacked to Death)
চেন্নাইয়ের পেরাম্বুরে বাড়ি আর্মস্ট্রংয়ের। শুক্রবার বাড়ির কাছেই মোটর সাইকেলে সওয়ার ছয় দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয় বলে জানা গিয়েছে। ছুরি দিয়ে আর্মস্ট্রংকে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখেই চম্পট দেয় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আর্মস্ট্রংকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। (Tamil Nadu News)
যে এলাকায় বাড়ি আর্মস্ট্রংয়ের, সেটি সেম্বিয়াম থানার অন্তর্গত। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রতিহিংসাবশত খুুন করা হয়ে থাকতে পারে। গত বছর সেখানে আর্কট সুরেশ নামের এক গ্যাংস্টার খুন হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
চেন্নাইয়ের পুলিশ আধিকারিক আসরা গর্গ জানিয়েছেন, এই খুনেক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজন সন্দেহভাজনের নাম উঠে এসেছে। ১০টি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে পুলিশের তরফে। আততায়ীদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই খুনের আসল কারণ জানা সম্ভব হবে। তবে ধারাল অস্ত্র দিয়েই আর্মস্ট্রংকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার দলের সদস্যদের সঙ্গেই রাস্তায় কথা বলছিলেন আর্মস্ট্রিং। কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময় অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সেজে দুষ্কৃতীরা মোটর সাইকেলে চেপে ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং আর্মস্ট্রংকে কোপায় বলে অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় ক্ষমতাসীন DMK-র দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। তামিলনাড়ু বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ই পালানিস্বামী বলেন, "একটি জাতীয় দলের সভাপতি খুন হয়েছেন, এর পর আর কী বলার থাকে? আইনশৃঙ্খলার অবস্থা লজ্জাজনক। আইন বা পুলিশকে আর ভয় করে না দুষ্কৃতীরা।"
পেশায় আইনজীবী আর্মস্ট্রং ২০০৬ সালে চেন্নাই কর্পোরেশন কাউন্সিলে জায়গা পান। বছর দুয়েক আগে মায়াবতীর সঙ্গে চেন্নাইয়ে বিরাট মিছিল বের করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মায়াবতী। রাজ্যে দলিতদের কণ্ঠস্বর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন আর্মস্ট্রং, তাঁর খুনিদের চরম শাস্তি হওয়া উচিত বলে দাবি তুলেছেন।