মাত্র দেড় ঘণ্টায় গোয়েন্দাদের সামনে আইইডি, হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরি করল ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা, জেরা এনআইএ-র
কলকাতা: লালবাজারে বসে আইইডি, হ্যান্ড গ্রেনেড ও সকেট বোমা তৈরি! তাও মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে!!! কলকাতায় ধৃত দুই বাংলাদেশি জঙ্গি, বিস্ফোরক তৈরিতে যে কতখানি পারদর্শী, সেই প্রমাণই পেল লালবাজার। মঙ্গলবার আল কায়দার সহযোগী সংগঠন, আনসারুল্লা বাংলার দুই জঙ্গি সামসাদ মিঞা ওরফে তনবীর ও রিয়াজ ওরফে রিয়াজুল ইসলাম এবং অস্ত্র কারবারি মনোতোষ দে-কে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরায় জানা গিয়েছে, তারা বিস্ফোরক তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। সূত্রের খবর, সেই মতো তদন্তকারীদের সামনে আইইডি, হ্যান্ড গ্রেনেড ও সকেট বোমা তৈরি করে দেখায় দুই জঙ্গি! শুধু তাই নয়, কীভাবে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা যায়, তাও দেখিয়েছে তারা! এনআইএ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার লালবাজারে গিয়ে দুই জঙ্গিকে কিছুক্ষণ জেরা করেন তাদের দুই গোয়েন্দা। এনআইকেও দুই জঙ্গির বোমা তৈরির কথা জানানো হয় বলে সূত্রের খবর। প্রয়োজনে ফের দু’জনে জেরা করতে পারে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। এসটিএফ সূত্রে দাবি, ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ২৬ জনকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছে তারা। এমনকী হাওয়ালার মাধ্যমে আসা বেশিরভাগ টাকাই প্রশিক্ষণের জন্য খরচ করা হত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গতমাসের শেষের দিকে, হেয়ার স্ট্রিট-বড়বাজার-পোস্তার বিভিন্ন রাসায়নিকের দোকানে গিয়েছিল দুই জঙ্গি। ধৃতদের কাছ থেকে সেই সব দোকানের ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি মিলেছে জাল আধার কার্ড। সেগুলি কর্ণাটকের বেলগামে তৈরি বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এসটিএফ সূত্রে দাবি, প্রতিটি জাল আধার কার্ড তৈরি করতে খরচ পড়ে ১০ হাজার টাকা। তাদের কাছ থেকে একাধিক জাল আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। একেক জনের জন্য একাধিক জাল আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এসটিএফ সূত্রে আরও দাবি, জাল আধার কার্ড চক্রে জড়িত কয়েকজনের নামও পাওয়া গিয়েছে।