কংগ্রেসের বিধানসভা অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, পাল্টা অবরোধ, ভোগান্তি
কলকাতা: কংগ্রেসের বিধানসভা অভিযান ঘিরে তুলকালাম! পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি। পাল্টা অবরোধ কংগ্রেসের। যানজটে ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। আবদুল মান্নানকে হেনস্থা, মহিলা বিধায়কদের নিগ্রহের অভিযোগে বুধবার বিধানসভা অভিযানে নামে কংগ্রেস। এদিন দুপুর ২.৪০ মিনিটে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয় কংগ্রেসের মিছিল। রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড হয়ে এস এন বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের মুখে মিছিল পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ভেঙে এগোতে যান কংগ্রেস কর্মীরা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পাল্টা রাস্তায় বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন অধীর চৌধুরীরা। ভরদুপুরে তীব্র যানজটে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থল থেকে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হলেও, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত, মান্নান-মহিলা বিধায়কদের হেনস্থা করা হচ্ছে। অভিযোগ, ধুন্ধুমারের পর রাস্তা ফাঁকা করতে গিয়ে এক ফুচকাওয়ালাকে ধাক্কা মারেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় সব পসরা। প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে ঘিরে ধরেন কংগ্রেস কর্মীরা। যদিও, পুলিশবাহিনী গিয়ে সবাইকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়। কর্মসূচি শেষের পর ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিধানসভায় ফিরে যান। সেখানে আবার আরেক কাণ্ড! অভিযোগ, বিধানসভার সাউথ গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে কংগ্রেস বিধায়কদের পরিচয়পত্র দেখতে চান নিরাপত্তা কর্মীরা। শুরু হয় বাদানুবাদ। বিধানসভা কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, অধীর চৌধুরীর ধর্নার দিন অনুমতি ছাড়াই অনেকে এসেছিলেন বিধানসভা চত্বরে। তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এদিন পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়করা।