পিয়ারলেসে করোনায় আক্রান্ত নয়াবাদের প্রৌঢ়র মৃত্যু
রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু।
সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। বুধবার পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত্যু হল চিকিৎসাধীন নয়াবাদের প্রৌঢ়ের। গত কয়েকদিন ধরেই পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৬৬ বছরের ওই ব্যক্তি। দিন দিন তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেটর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আজ তাঁর শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হওয়ায় ডায়ালিসিসও করা হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ দুপুর ৩টে বেজে ৪০ মিনিটে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
গত ১২ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান ৬৬ বছরের প্রৌঢ়। বিয়েবাড়ি সেরে দিঘায় ঘুরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর নিয়ে এগরায় ফিরে আসেন। ১৪ মার্চ তাঁর রক্ত পরীক্ষায় টাইফয়েড ধরা পড়ে। এরপরই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। ২৩ তারিখ ব্যক্তিগত গাড়িতে প্রৌঢ়কে এগরা থেকে কলকাতায় এনে সরাসরি পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
২৭ মার্চ করোনা আক্রান্ত নয়াবাদের প্রৌঢ়ের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। মাল্টিঅর্গান ফেলিওর ঠেকাতে চেষ্টা করেন চিকিত্সকরা। অন্যদিকে, শুক্রবারই হোম আইসোলেশন থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরিবারের ৪ সদস্য সহ ৫ জনকে। এম আর বাঙুরে ভর্তি প্রৌঢ়ের স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিকে। সেই সঙ্গে প্রৌঢ়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন যে আত্মীয় তাঁকেও ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে যে ৩ জন পজিটিভ, তাঁদের বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে আসা হয়েছে।
যদিও ২৮ মার্চ চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, আক্রান্তের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভেন্টিলেশনের মাত্রাও কমানো হয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়া ঠেকাতে ওষুধে কাজ হয়েছে বলেও চিকিত্সকরা জানান। রোগীর রক্তচাপ ও রেচন প্রক্রিয়া ওষুধের সাহায্যে স্বাভাবিক রাখা হয়। তবে আজ অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হয় এবং মৃত্যু হয় তাঁর।
পড়ুন: নিজামউদ্দিনে যারা গিয়েছেন সরকারকে তথ্য দিন, খুঁজে বার করে কোয়ারেন্টিন করব: মমতা
ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ল। বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশে মৃত ৩৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৩৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩৩ জন। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রাজ্যে ৩০২ জন করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তারপরই রয়েছে কেরল। কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪১। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কাল সকাল এগারোটায় সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স করবেন।
আগামী ২ সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লকডাউনকে সফল করুন, আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান স্বাভাবিক, বাজারে ভিড় না করার আবেদন। বাড়িতেই থাকার পরামর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।