প্রয়াত বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবী
কলকাতা: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন গিরিজা দেবী। মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ মিনিট নাগাদ বি এম বিড়লা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রাত ৮.৫৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এই সঙ্গীতশিল্পীর। ১৯২৯ সালের ৮ মে বারাণসীতে জন্ম হয় সেনিয়া ও বেনারস ঘরানার এই সঙ্গীতশিল্পীর। বাবা রামদেও রাই ছিলেন জমিদার। বাবা হারমোনিয়াম বাজাতেন এবং সঙ্গীত শেখাতেন। বাবার কাছ থেকেই সঙ্গীতের হাতেখড়ি গিরিজা দেবীর। পাঁচ বছর বয়সে কণ্ঠশিল্পী এবং সারঙ্গী বাদক সরযূপ্রসাদ মিশ্রের কাছ থেকে তিনি খেয়াল ও টপ্পায় শিক্ষা নিতে থাকেন। সঙ্গীতের পাশাপাশি তিনি ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। ন বছর বয়সে তিনি ‘ইয়াদ রহে’ ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৫১ সালে বিহারে প্রথম জনসমক্ষে পারফর্ম করেন গিরিজা দেবী। বেনারস থেকে এসে কলকাতাতেই রয়ে গিয়েছিলেন। আটের দশকে কলকাতার আইটিসি সঙ্গীর রিসার্চ অ্যাকাডেমির ফ্যাকালটি মেম্বার ছিলেন গিরিজা দেবী। নয়ের দশকের গোড়ায় তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েও সঙ্গীতের শিক্ষকতা করেন। শাস্ত্রীয় ও ধ্রুপদী সঙ্গীতের পাশাপাশি, ঠুংরিকে জনপ্রিয় করার নেপথ্যে বড় অবদান ছিল গিরিজা দেবীর। এছাড়া কাজরি, দাদরা, চৈতিতেও ছিল তাঁর অগাধ বিস্তার। সঙ্গীতের দুনিয়ায় প্রথিতযশা ছিলেন গিরিজা দেবী। জীবনে বহি সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭২ সালে পান পদ্মশ্রী। ১৯৮৯ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। এছাড়া সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (১৯৭৭), সঙ্গীত নাটক অকাদেমি ফেলোশিপ (২০১০), মহা সঙ্গীত সম্মান (২০১২) পান তিনি। গিরিজা দেবীর মৃত্যুতে সঙ্গীতজগতে শোকের ছায়া। শোকজ্ঞাপন করেছেন উস্তাদ রশিদ খান, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী সহ একাধিক বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী।