বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতা থেকে জেলা, নাকাল মানুষ, রানওয়েতে জল জমায় ব্যাহত উড়ান
কলকাতা: একদিকে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব, অন্যদিকে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। যার ফলে রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি। দুপুরের বৃষ্টিতেই শহরজুড়ে জলছবি। জমা জল আর যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধকালীন তৎপরতা পুরসভার। সকালের কয়েকদফা বৃষ্টির পর ফের শুরু হয়েছিল দুপুর থেকে। আর সেই বৃষ্টিতেই বিপর্যস্ত শহর। জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জমা জলে এদিন দুপুর থেকে বেহাল হয়ে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। বিকেল পাঁচটাতেও জলবন্দি কলুটোলা স্ট্রিট। এছাড়াও জলমগ্ন হয়ে পড়ে ঠনঠনিয়া, কাঁকুড়গাছি, উল্টোডাঙা, ক্যামাক স্ট্রিট, এম জি রোড, গড়িয়াহাট। জমা জলের সঙ্গে যানজটে দিনভর নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। মেয়র জানিয়েছেন, বৃষ্টির পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর পুরকর্মীরা। আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৬৬. ৮ মিলিমিটার। দমদমে ৪৮ মিলিমিটার। অন্যদিকে, পুরসভার হিসেব অনুযায়ী সকাল ১১ থেকে ২টোর মধ্যে মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ৯৮ মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় ৮৬ মিমি, পামারবাজারে ১১৫, ঠনঠনিয়ায় ৯৮ মিলিমিটারি, কালীঘাটে ৫৬ এবং বালিগঞ্জে ৬২.৪ মিলিমিটার। লাগাতার বৃষ্টির জেরে এদিন জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিমানবন্দরের কিছু এলাকাও। রানওয়েতে জল জমে যাওয়ায় ব্যাহত হয় উড়ান চলাচল। কলকাতার পাশাপাশি এদিন বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি, ভাল বৃষ্টি হয়েছে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি বর্ধমানে। সকাল ও দুপুরের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে হাওড়া পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নর চারপাশেও দাঁড়িয়ে যায় জল। জমা জল দ্রুত সরাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, ভারী বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কার্শিয়ং-এ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে হালকা থেকে মাঝারি। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব উত্তরবঙ্গের ওপর বেশি থাকায় বেশি বৃষ্টি হবে সেখানে।