বিরোধীদের একসুরে নিশানা করলেন মমতা

কলকাতা: এক অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় তিন প্রতিপক্ষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিজেপি গুন্ডামি করে, টাকা, এজেন্সি দিয়ে দলগুলিকে ভাঙার চেষ্টা করছে। অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছে। হাজারটা সিবিআই নিয়ে এসো। মমতার মানুষের কথা বলবেই। দেশ থেকে যাওয়ার জন্য তৈরি থাক। বিজেপির পর মমতার তোপের মুখে কংগ্রেস। বলেন, কংগ্রেস তুমি দিল্লি চালিয়েছ। দিল্লিটাও ভাল করে চালাতে পারওনি। আগে দিল্লি ভাল করে চালাও, বাংলার দিকে তাকাতে হবে না। বিজেপি-কংগ্রেস নিশানায় পড়লে, সিপিএম বাদ যায় কীভাবে! এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিএম তুমি লস্ট কেস, নো ক্রেডিবিলিটি। চুপচাপ থাক। এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙচুরের প্রসঙ্গ টেনেও বিধেছেন বিরোধীদের। বলেন, যাঁরা ভাঙচুর করছেন, তাঁরা ঠিক কাজ করেননি। এত কথা না বলে, চুপ করে থাকুন। অনেকে অন্যায় করেছেন, তবুও জেলে পুরিনি, নিজেরা কাজ করেননি, যারা করছে, তাদের করতে দিন। যারা ভাঙচুর করবে, এসব আর চলবে না, ভেঙে দেওয়ার রাজনীতি চলবে না, ভাঙচুর করে ছবি তুলছে, এত বড়বড় কথা আসে কী করে? শিল্পক্ষেত্রে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ভাঙচুর নিয়ে মমতাকে জবাব দিতে গিয়ে সিপিএম টেনে এনেছে দু’হাজার ছয়ে বিধানসভায় ভাঙচুরের প্রসঙ্গ। বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, আপনারাই পথ দেখিয়েছেন। সাম্প্রতিককালে রাজ্যের নানা জায়গায় ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে ভাঙচুর, নানা ঘটনা সামনে এসেছে। যা রুখতে বিধানসভায় বিল এনেছে তৃণমূল সরকার। যা ঘিরে আবার বিধানসভায় কার্যত ভাঙচুরের পরিস্থিতি তৈরি হয়। আব্দুল মান্নান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। পাশে পেয়েছে সিপিএমকে। আর এই প্রেক্ষাপটেই একযোগে সবার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।





















