রোজভ্যালিকাণ্ড: এবার গৌতম কুণ্ডুর মাকে তলব এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের
কলকাতা: রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তে এবার তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গৌতম কুণ্ডুর হোটেল ব্যবসার তথ্য খতিয়ে দেখতে রোজভ্যালি-কর্ণধারের মাকে তলব। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে যাননি। মঙ্গলবার সারদাকাণ্ডে কুণাল ঘোষকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। অন্যদিকে, রোজভ্যালিকাণ্ডে গৌতম কুণ্ডুর মা বিভা কুণ্ডুকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারদাকাণ্ডে জেলে যাওয়ার পর বহু নথি সম্বলিত একটি চিঠি আদালতে পাঠান কুণাল ঘোষ। সূত্রের দাবি, চিঠিতে তিনি নাম ধরে উল্লেখ করেন, সারদা থেকে কোন কোন প্রভাবশালী কী কী সুবিধা পেয়েছে। রোজভ্যালি-তদন্তের মাঝে কুণালের এইসব অভিযোগ নিয়েও নাড়াচাড়া শুরু করে দিল সিবিআই। এদিন দুপুর একটায় কুণাল ঘোষ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছোন। তারপর থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। অন্যদিকে, রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তে নতুন করে কোমর বেঁধে নামছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যাঁরা ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে। এবার ইডি-র নজর রোজভ্যালির হোটেল ব্যবসার দিকে। তদন্তের প্রথম ধাপ হিসেবে মঙ্গলবার রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর মা বিভা কুণ্ডুকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, রোজভ্যালি নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরে নিজের হোটেল ব্যবসার নাম বদলে চকোলেট হোটেলস করে মা-কে অন্যতম ডিরেক্টর করেন গৌতম কুণ্ডু। তাঁর গ্রেফতারির পরও মা বিভা কুণ্ডুই রোজভ্যালির হোটেল ব্যবসা সামলান। এখন ইডি-র প্রশ্ন, গৌতম কুণ্ডু কি হোটেল ব্যবসার নাম বদলে রোজভ্যালির সম্পত্তি বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন? তিনি কি রোজভ্যালির কালো টাকা তাঁর মায়ের হোটেল ব্যবসায় ঢেলে সাদা করেছেন? ইডি সূত্রে দাবি, তদন্ত চালিয়ে জানা গিয়েছে, গৌতম কুণ্ডুর গ্রেফতারির পর রোজভ্যালির বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশেও পাচার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে হোটেল ব্যবসাকে কোনওভাবে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা দরকার। এসবের জন্যই মঙ্গলবার গৌতম কুণ্ডুর মাকে নথি সহ ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও, বিভা কুণ্ডু আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি মঙ্গলবার ইডি-র দফতরে হাজির হতে পারবেন না। ইডি সূত্রে দাবি, রোজভ্যালিকাণ্ডে এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ যে মামলা রুজু করেছে, সেই সংক্রান্ত নথিও লালবাজারের কাছে চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।