এক্সপ্লোর
Advertisement
বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অশান্তির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন-রাজ্যপালের কাছে তৃণমূল
কলকাতা: বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যায় রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধি দলও। আগামীকাল কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বামেরা।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বের অশান্তি নিয়ে বারবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজভবনে দরবার করছে বিরোধীরা। তার ভিত্তিতে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে কথাও বলছেন রাজ্যপাল। এই প্রেক্ষাপটে এবার কমিশন ও রাজভবনে গিয়েই বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান তৃণমূলের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল। তার মধ্যে ছিলেন হাফ ডজন মন্ত্রী, যেমন
সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এবং তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়।
বিরোধীদের দাবি, এরকম ভারী দল নিয়ে গিয়ে আদতে কমিশনের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। বিজেপি তো এ প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে।
শাসকের পাল্টা দাবি, বিরোধীরাই নানাবিধ অভিযোগ নিয়ে কমিশনের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহর সঙ্গে ২০-২৫ মিনিট বৈঠক করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের পাল্টা মারের দাওয়াই নিয়ে তাঁরা মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান।
তাদের সন্ত্রাসের মুখে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারছে না বলে অভিযোগ করলেও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল।
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়েন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। তাঁর গাড়ি ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেন সেভ ডেমোক্র্যাসি সংগঠনের সদস্যরা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে রাজভবনে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেখানে তাদের দল ছিল আরও ভারি।
আট প্রতিনিধির সঙ্গে সেখানে যোগ হয় আরও তিন জন। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী এবং রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী।
সেখানেও বিরোধীদের অভিযোগ একে একে খণ্ডন করেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রেও দাবি, জেলা পরিষদে বুধবার রাত পর্যন্ত তৃণমূলের থেকে বেশি সংখ্যায় মনোনয়ন দাখিল করেছে বিজেপি।
জেলা পরিষদে মোট আসন ৮২৫টি। বুধবার রাত পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল হয়েছে ১৪৩টি আসনে।
এর মধ্যে বিজেপির মনোনয়ন ৪০টি। তৃণমূলের ২৯ টি। সিপিএমের ১৯টি, কংগ্রেসের ১৫টি।
কিন্তু, বিরোধীদের পাল্টা দাবি, জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা দিতে হয় মহকুমাশাসকের অফিসে। তাই সেখানে অশান্তির ঘটনা তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন দাখিল করতে হয় বিডিও অফিসে। আর সেখানেই তৃণমূল যাবতীয় অশান্তি পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে দাবি, বিভিন্ন বিডিও অফিসে বৃহস্পতিবার দুপুর একটা পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য তৃণমূল মনোনয়ন দাখিল করেছে ৫৯০০টি। বিজেপি ৩৯০০টি। সিপিএম ১৪০০টি। এবং কংগ্রেস ৫০০টি।
আর পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দুপুর একটা পর্যন্ত তৃণমূল মনোনয়ন দাখিল করেছে ৯১৬টি , বিজেপি ৬০০টি, সিপিএম ২৩০টি
এবং কংগ্রেস ৫৪টি। এই পরিস্থিতিতে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে,
কিছু জায়গায় বিডিও অফিসের পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন দাখিল করা যাবে মহকুমাশাসকের অফিসেও। শুক্রবার থেকেই কার্যকর হবে এই নির্দেশ।
শুক্রবার কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বামেরা। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। অনুব্রত মণ্ডল, শুভেন্দু অধিকারী ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে তাঁদের শোকজ করার দাবি জানান বিজেপি নেতারা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement