Writers Building Makeover: মহাকরণের মেকওভার, নতুন বছরে নতুন রূপে রাইটার্স বিল্ডিং
ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে ব্লক ওয়ান, ব্লক টু এবং মেন ব্লকের একাংশ সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে...
কলকাতা: ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর ছিল রাইটার্স বিল্ডিং। দীর্ঘ সংস্কারের পর অবশেষে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে মহাকরণের।
বহু ইতিহাসের সাক্ষী, মহাকরণের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে, ব্লক ওয়ান, ব্লক টু এবং মেন ব্লকের একাংশ সংস্কার করা হয়েছে। ব্লক ওয়ানে যে সমস্ত ঘরগুলো আছে, হেরিটেজকে মাথায় রেখে সমস্ত স্ট্রাকচার একই রাখা হয়েছে। সেখানে দরজা ও ঘর আরও বেশি লম্বা করা হয়েছে, ইলেকট্রিসিটি কানেকশন বদল করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ৭ অগাস্ট রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর মহাকরণ থেকে নবান্নে স্থানান্তরিত করার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মহাকরণ সংস্কারে মোট ১৫০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। এখনও অবধি ৪০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। ফ্লোরিং আর ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি, বাদবাকি সবই হয়ে গিয়েছে।
এই লালবাড়ি থেকেই ব্রিটিশরা একসময় শাসন করেছে, বাংলার কত মুখ্যমন্ত্রীর পদচিহ্ন এখানে পড়েছে, সেই ঘরগুলো এখন তৈরি। মহাকরণের লাইব্রেরির কর্মী মাধব বাগ বলেন, আগে তো ভগ্নদশা ছিল। এখন ভালই লাগছে।
মহাকরণ সংস্কারের ঘোষণার পর রাজ্য সরকার প্রথমেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে। হেরিটেজ কমিশন এবং বিদেশের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হয়।
ঐতিহ্য অটুট রেখে সংস্কার কী ভাবে হবে - সে ব্যাপারে যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হয়। তৈরি হয় উচ্চপর্যায়ের কমিটি। এরপর ৭ বছর ধরে চলেছে সংস্কারের কাজ।
প্রশাসন সূত্রের খবর, কাঠামো সংস্কার হলেও, এখনও অনেক কাজ বাকি। বিবাদী বাগের এই লালবাড়ি কয়েক যুগের ইতিহাসের সাক্ষী।
১৭৭৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্লার্ক বা রাইটারদের থাকার জন্য লালদিঘি পাড়ে তৈরি হয় এই ভবন। নাম দেওয়া হয় রাইটার্স বিল্ডিং।
নির্মাণকাজ চলেছিল ১৭৭৭ থেকে ১৭৮০ সাল পর্যন্ত। পরে ধাপে ধাপে ১৮২১, ১৮৮৯ এবং ১৯০৬ সালে এর সম্প্রসারণ করা হয়।
স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্য সরকারের সদর দফতর ছিল এই ভবন। ২০১৩ সালে তা স্থানান্তরিত হয় গঙ্গার ওপাড়ে নবান্নে। তখন থেকেই মহাকরণে শুরু হয় সংস্কারের কাজ।