WB Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হতে পারে
সৌভিক মজুমদার ও মনোজ্ঞা লহিয়াল, কলকাতা : ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার বিকেলেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন অন্যতম জনস্বার্থ মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। মূলত মামলার একতরফা শুনানি আটকাতেই এই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। এদিন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ইস্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই রাজ্য সরকার আইনজীবী ও আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিল বলে আগেই জানা গিয়েছিল। এদিন সকালেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা-অশান্তি নিয়ে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। যার পর থেকেই খবর মিলছিল, এই রায়ের বিরুদ্ধে তথা একতরফা শুনানি আটকাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হতে পারে। পরে যাতে রাজ্য সরকার ক্যাভিয়েট দাখিল করলে অনিন্দ্য সুন্দর দাস ও তিনি যাঁদের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে।
ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ রায় দিয়ে এদিন জানায়, খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মতো গুরুতর ঘটনার মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের জন্য সৌমেন মিত্র, সুমন বালা-সহ ৩ জনকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্যের সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট। অন্যদিকে, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে দুষ্কৃতীদের তালিকায় একাধিক তৃণমূল নেতার যুক্ত থাকার আবেদনও খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এক নজরে কলকাতা হাইকোর্টের রায়
- ৬ সপ্তাহ পর তদন্তের রিপোর্ট দেবে CBI এবং SIT
- আরও একটি নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হবে।
- আর কোনও অভিযোগ থাকলে জানাতে হবে ডিভিশন বেঞ্চেই।
- আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।
- রাজ্যের সমস্ত সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
- ক্ষতিগ্রস্তদের এখনই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ভোট পরবর্তী অশান্তি-মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ১৩ জুলাই জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। কমিশনের রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। বিচারপর্ব যেন রাজ্যের বাইরে হয়। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের দিয়ে সিট গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করা হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে। এর পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। আছে শাসকের আইন। দাবি করা হয়, প্রধান বিরোধী দলের সমর্থকদের ওপর প্রতিশোধমূলক হিংসা চালিয়েছে শাসকদল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরও সেই প্রসঙ্গ ফের সামনে আনা হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে। তবে হাইকোর্টের রায় নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন-