![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
NATO Alliance: ন্যাটোর সদস্যতা পাওয়ার দৌড়ে ভারত! যা জানালেন মার্কিন দূত
NATO Membership: ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসারগরীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করছিলেন জুলিয়ান।
![NATO Alliance: ন্যাটোর সদস্যতা পাওয়ার দৌড়ে ভারত! যা জানালেন মার্কিন দূত Chances for India to get NATO membership not on the cards but door open says US NATO Ambassador Julianne Smith NATO Alliance: ন্যাটোর সদস্যতা পাওয়ার দৌড়ে ভারত! যা জানালেন মার্কিন দূত](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/04/01/9cb1e4cc5c7fead752856cd5c783aa091680344778011338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির মতো তাবড় শক্তিশালী দেশ তাতে শামিল (NATO Alliance)। সেই নর্থ আটল্যান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনে ভারতের প্রবেশ কি সম্ভব! খোলামেলা ভাবে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন আমেরিকার ন্যাটো অ্যাম্বাসাডর জুলিয়ান স্মিথ। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তারে ন্যাটো আগ্রহী বলে জানালেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক সামিরক জোটের বিস্তারের কোনও পরিকল্পনা এখনই ভাবনায় নেই বলে জানালেন (NATO Membership)।
দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা
ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করছিলেন জুলিয়ান। সেখানেই ভারতের সম্ভাবনার প্রসঙ্গ ওঠে। তাতে তিনি বলেন, "ন্যাটো ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতেই আগ্রহী। ভারতেরও সে ব্য়াপারে ভাবা উচিত। বর্তমানে গোটা বিশ্বে ন্যাটোর সহযোগীর সংখ্যা ৪০। প্রত্যেকের সঙ্গে সমীকরণ আলাদা। বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক সহযোগিতার প্রস্তাব নিয়ে ন্যাটোর দরজায় হাজির হয় অনেক দেশ। কিছু সময় দেশগুলির তরফেই বেশি আগ্রহ দেখা যায়। দেশ বিশেষে সমীকরণ নির্ভর করে। ভারতকে ইতিমধ্যেই সহযোগিতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সে ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত ভারতের।"
ন্যাটোয় ভারতের সদস্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কোনও রাখঢাক করেননি জুলিয়ান। তাঁর কথায়, "ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাগরীয় অঞ্চলে কোনও দেশের সদস্যতা নিয়েই ভাবনা-চিন্তা করিনি আমরা। এখনও পর্যন্ত ইউরোপ এবং আটল্যান্টিক সামরিক জোটের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ। এই মুহূর্তে দরজা খোলাই রয়েছে ন্যাটোর। তবে এই জোটকে বৈশ্বিক সামরিক জোটে বর্ধিত করার কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই।"
আগামী ৪ থেকে ৫ এপ্রিল ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দফতরে বিভিন্ন দেশের বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে ফিনল্যান্ডের সদস্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনই ভারতকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানান জুলিয়ান। তিনি জানিয়েছেন, সার্বিক স্তরে ভারত ন্যাটোর সঙ্গে কতটা যুক্ত হতে আগ্রহী, তা আগে জানা দরকার। যত ক্ষণ পর্যন্ত তা সম্ভব না হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ন্যাটোর বৈঠকে ভারতের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই মুহূর্তে ন্যাটোর সদস্য দেশের সংখ্যা ৩১। সেই তালিকায় রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইতালি, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, আলবেনিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্টোনিয়া, লাক্সেমবার্গ, স্লোভাকিয়া, স্পেন, তুরস্ক, রোমানিয়া, নর্থ ম্যাসিডোনিয়া, লিথুনিয়া, আইসল্যান্ডের মতো দেশ। এর মধ্যে আক্ষরিক অর্থে সামরিক বাহিনী বলতে যা বোঝায়, আইসল্যান্ডের তা নেই।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে শান্তিস্থাপনে লাগাতার উদ্যোগী হয়েছে ভারত
এ ছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রিপাবলিক অফ কোরিয়া এবং জাপানের মতো দেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে ন্যাটোর। বিগত কয়েক বছর ধরেই ন্যাটোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তাদের। গতবছর মাদ্রিদে ন্যাটোর সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিল ওই চার দেশ। তবে গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে শান্তিস্থাপনে লাগাতার উদ্যোগী হয়েছে ভারত। ভারতের সেই প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেন জুলিয়ান।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)