Chhangur Baba: 'ফাঁদে ফেলে মুসলিম বানানোর কারবার',কিংপিন 'ছাঙ্গুর বাবা' পরিচয় দিতেন RSS এর লোক বলে,লেটারহেডে মোদির ছবি
Chhangur Baba Case : ধর্মান্তকরণের এমন বিরাট ব়্যাকেট এতদিন কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠল? কেন এল না প্রকাশ্যে। এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার বিষয়ে ।

নয়াদিল্লি : উত্তরপ্রদেশ জুড়ে তাঁর 'ধর্মান্তকরণের বিরাট গ্যাং'। কোটি কোটি টাকার তহবিল। বিদেশ থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আমদানি। হিন্দু মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ম পরিবর্তন করানোই মূল অ্যাজেন্ডা আর তার বিনিময়ে টাকা ছড়ানো। আর পুরো কাজটা নিরাপদে চালিয়ে যেতে হাতে রাখা রাজনীতিকদের। তাই ভোটের সময়ও মুড়মুড়কির মতো টাকা ছড়ানো। এমন সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের 'ছাঙ্গুর বাবা'র বিরুদ্ধে । তাঁর বিরুদ্ধে এক যোগে তদন্ত করছে এটিএস ও ইডি। প্রতিদিন চমকে দেওয়া সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। প্রশ্ন উঠছে , ১০০ কোটি টাকার বিদেশি তহবিল, এত বিরাট নেটওয়ার্ক, অন্যায্য ভাবে ধর্মান্তকরণের এমন বিরাট ব়্যাকেট এতদিন কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠল? কেন এল না প্রকাশ্যে। এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার বিষয়ে । দাবি তদন্তকারীদের।
তদন্তকারীদের দাবি, উত্তর প্রদেশে ধর্মান্তরিত করার যে বিরাট ব়্যাকেট তিনি চালাতেন তার শিকড় অনেক গভীরে। মূল চক্রী ছাঙ্গুর বাবা বিভিন্ন প্রভাবশালী ও আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার সময় নিজেকে আরএসএস-অনুমোদিত সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমনকী সংগঠনের লেটারহেডে ছবি ব্যবহার করতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ! ছাঙ্গুর বাবা, ওরফে জামালুদ্দিন ছিলেন ভারত প্রতিকার্থ সেবা সংঘ নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক । সেটা চালাতেন আরেক মূল অভিযুক্ত, ঈদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সংগঠনটির নামকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছিল, কারণ তাঁরা মানুষকে বোঝাতে চাইতেন যে তাঁরা আরএসএসের লোক। তাঁরা যে আদতে মুসলিম ধর্মান্তকরণের উদ্দেশে কাজ করছেন,সেটা যেন ধরা না পড়ে। শুধু তাই নয় , এই সংগঠনের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করার জন্য নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরের অদূরে একি ভুয়ো কেন্দ্রও তৈরি করেছিল। নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট আরএসএস কর্মীর নাম উল্লেখ করতেন কথা বলার সময়। তদন্তকারী স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) আরও জানতে পেরেছে, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে এঁরা জমি অবৈধভাবে কেনার বেচাও করতেন।
অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দারা নজর রেখেছিল তাঁদের উপর। অভিযোগ , তিনি পাকিস্তান সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলি থেকে বহু কোটি টাকা অর্থ পেয়েছেন। আর্থিক দিকটি তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযোগ, ছাঙ্গুর বাবার উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে। যা বেশিরভাগই সরকারি জমি দখল করে করা হয়েছে।






















