Chhattisgarh Mid Day Meal: বকেয়া নিয়ে টানাপোড়েন, মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে শুধু হলুদ ছড়ানো সেদ্ধ ভাত
Viral News: ছত্তীসগঢ়ের বলরামপুরের বিজাকুরা গ্রামের ঘটনা।
রায়পুর: মিড ডে মিলের নামে বাচ্চাদের রুটি ও নুন খেতে দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল দিকে দিকে। সেই খবর দেখানোয় কোপে পড়তে হয়েছিল জনৈক সাংবাদিককেও। দেশের আর এক রাজ্যে এবার একই চিত্র ধরা পড়ল। শাক-সবজি-ডিম তো দূর, খিচুড়িও মিলল না। ছত্তীসগঢ়ের একটি স্কুলে পড়ুয়াদের খেতে দেওয়া হল হলুদ ছড়ানো ভাত। (Chhattisgarh Mid Day Meal)
ছত্তীসগঢ়ের বলরামপুরের বিজাকুরা গ্রামের ঘটনা। বিজাকুরা প্রাথমিক স্কুলের মোট পড়ুয়া সংখ্যা ৪৩। আর ওই ৪৩ জনের পাতেই মিড ডে মিল বলতে দেওয়া হয় হলুদ ছড়ানো ভাত। গত এক সপ্তাহ ধরে অন্তত এমনই চলছে। শাক-সবজি-ডিম নয়, হলুদ মেশানো সেদ্ধ ভাত খেয়েই দিন কাটছে পড়ুয়াদের। ভাতের সঙ্গে ডাল কখনও সখনওই জোটে বলে জানা গিয়েছে। (Viral News)
এ নিয়ে কথা বলতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, মিড ডে মিলের সামগ্রী সরবরাহ করে যারা, তারাই শাক-সবজি কিছু দেয়নি। যদিও সরবরাহকারী সংস্থা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে টাকা বাকি রয়েছে। সেই কারণেই সামগ্রী পাঠনো যাচ্ছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে এই দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপের মধ্যে হলুদ ছড়ানো ভাত খেয়েই দিন কাটছে পড়ুয়াদের।
43 children of Bijakura village in Balrampur, #Chhattisgarh have been eating yellow rice mixed with turmeric, not even khichdi, for a week.
— Bole Bharat (@bole_bharat) July 6, 2024
The school says that vegetables have not been available for a week, those running the government should die of shame. pic.twitter.com/vzTNULTiIK
আরও পড়ুন: Rath Yatra 2024: পুরীর রথযাত্রায় ভারতের রাষ্ট্রপতি, কড়া নিরাপত্তায় মুড়েছে জগন্নাথধাম
বিষয়টি সামনে আসতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলার শিক্ষা আধিকারিক দেবেন্দ্রনাথ মিশ্র। দোষী ব্যক্তিক অবশ্যই কড়া শাস্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "বিষয়টি আমার কানে এসেছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।"
শুধু ওই প্রাথমিক স্কুলই নয়, বকেয়া টাকা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে অঙ্গনওয়াড়ির অবস্থাও একই বলে জানা গিয়েছে। অপুষ্টি প্রতিরোধ করতে রাজ্য সরকারের তরফে রেডি-টু-ইট খাবার দেওয়া হয় বাচ্চা এবং প্রসূতিদের। কিন্তু টাকা বাকি থাকায় ৫২ হাজার ৪৭৪ অঙ্গনওয়াড়িতে সেই সব খাবারের কিছুই পৌঁছচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত জুলাি মাসের খাবার জুন মাসেই পৌঁছে যায়। কিন্তু এবার এখনও তা হাতে এসে পৌঁছয়নি।
এ নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের বর্তমান বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। সরকারের তরফে গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ে অপুষ্টির হার ১৭.৭৬ শতাংশ।