Pakistan China Talk : 'পাশে আছি' ইসলামাবাদে ফোন করে বার্তা চিনের, চিন্তা বাড়ল ভারতের?
Pahelgam Attack : এবার কি তবে ক্ষমতাবাণ 'বন্ধু' চিনকে পাশে পেয়ে কোণঠাসা অবস্থায় হালে পানি পেল পাকিস্তান ?

নয়াদিল্লি : পহেলগাঁও পরবর্তী পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদ দমনে 'নৌ টলারেন্স' নীতিতে বিশ্বাস তাবড় দেশের সমর্থন পেয়েছে ভারত।পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে কড়া নিন্দা করেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি। কিন্তু চিন ? কোন দিকে যাবে ? এই প্রশ্নটা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই কূটনীতিকদের ধারণাই ছিল, চিনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকবে পাকিস্তানের দিকেই। সময় প্রমাণও করছে তেমনটাই। চিনকে আবারও পাশে পেল পাকিস্তান। রবিবার পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দাকে ফোন করেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তাঁর সঙ্গে সুদীর্ঘ বাক্যালাপের পর চিন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। ই জানান, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তান নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের পক্ষে এবং তাতে সমর্থন আছে চিনের। এবার কি তবে ক্ষমতাবাণ 'বন্ধু' চিনকে পাশে পেয়ে কোণঠাসা অবস্থায় একটু অক্সিজেন পাবে পাকিস্তান ?
ফোনালাপে পাকিস্তান চিনকে জানায়, তারা কোনওরকম উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দ্য গ্লোবাল টাইমস এর প্রতিবেদনে দাবি , ওয়াং ই বলেছেন, চিন পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরবর্তী ঘটনাক্রমে নজর রাখছে। তারা পাকিস্তানের 'দৃঢ় সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপকে' সমর্থন করে। ই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের লড়াইকে রীতিমতো সাধুবাদ জানিয়েছেন বলেই খবর।
ওয়াং ই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, চিন পাকিস্তানের বন্ধু দেশ। তাই যে কোনও পরিস্থিতিতেই চিন তাদের পাশে আছে। শুধু তাই নয়, চিন পাকিস্তানের নিরাপত্তা উদ্বেগকে বৈধ বলেই মনে করছে। ই জোর দিয়ে বলেন,ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। এটা কখনই কাম্য নয়। এটি দুই দেশের মৌলিক স্বার্থ পূরণ করবে না। গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ই আশা করেন, উভয় পক্ষই এক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করবে। একে অপরের সহায়ক হবে। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কাজ করবে।
পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে বেছে বেছে হিন্দু নিধনের প্রতিবাদে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে সারা বিশ্বেও। লন্ডনে পাক হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদের পর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও কানাডার টরন্টোতেও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, 'এই হামলা খুবই খারাপ ঘটনা। সীমান্তে উত্তেজনা দেড় হাজার বছরের। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সবসময়েই প্রচণ্ড উত্তেজনা ছিল। আমি দুই দেশের নেতাকেই চিনি। আমি নিশ্চিত যে, তাঁরা কোনও না কোনওভাবে এর সমাধান করবেন। ' উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।






















