China Dam Project: ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ব্রহ্মপুত্রে মেগা বাঁধ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করে দিল চিন
India-China Relations: প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই গোড়ার দিকে, চিনের প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের সঙ্গে বেজিংয়ে দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

নয়াদিল্লি : তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের উপরের অংশ - ইয়ারলুং সাংপোর নিম্ন প্রান্তে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মেগা বাঁধ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করে দিল চিন। যা ভারত ও বাংলাদেশ-সহ নিম্ন অববাহিকার দেশগুলিতে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিব্বত অঞ্চলে ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্ন অববাহিকায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করেন তিনি।
সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় উদ্যোগ, ইয়ারলুং জাংবো নদীর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নিম্ন প্রান্ত নির্মাণের জন্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, প্রকল্প গবেষণা, পরীক্ষা ও নির্মাণ ইউনিট এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চিন সরকার দাবি করছে যে, প্রকল্পটি মূলত বাইরের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং একইসঙ্গে জিজাং-এর স্থানীয় চাহিদাও পূরণ করবে। কিন্তু, এর নির্মাণ ব্রহ্মপুত্রের নিম্ন অববাহিকা এলাকার স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজের দিকে সতর্কতামূলক নজর রাখছে ভারত। যার মধ্যে চিনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উন্নয়নের পরিকল্পনাও রয়েছে। এই আবহে দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে নিচু এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের জীবন ও জীবিকা রক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই গোড়ার দিকে, চিনের প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের সঙ্গে বেজিংয়ে দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) কাউন্সিলের বিদেশমন্ত্রীদের চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের অংশ হিসেবে এই আলাপচারিতা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার সময়, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির উপর জোর দেন।
২০২০ সালে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত চরমে পৌঁছয়। সেই সময়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুচ উচ্চতায় দুই দেশের বাহিনী পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গোলাগুলি না চললেও, হাতাহাতি, পেরেক গাঁথা মুগুর দিয়ে চিনা বাহিনী আঘাত করে ভারতীয় জওয়ানদের। সবমিলিয়ে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনও শুরু হয়। ভারতের দাবি ছিল, গালওয়ান উপত্যকায় দারবুক-শাইওক-দৌলত বেগ ওল্ডি রোডের সঙ্গে একটি বিমানঘাঁটিকে রাস্তার মাধ্যমে জুড়তে গেলে, তাতে বাধা দেয় চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকার উপর অধিকার নিয়েও বিরোধ দেখা দেয়। গালওয়ান সংঘর্ষের পর দফায় দফা বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে। তবে উত্তেজনা কাটলেও, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে সমাধান বেরোয়নি এখনও পর্যন্ত।






















