LIVE UPDATES: মধ্যরাতে লোকসভায় পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, টুইটারে উচ্ছ্বাসপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, অভিনন্দন জানালেন অমিত শাহকে
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: বিরোধীদের তীব্র আপত্তি ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ লোকসভায় পেশ করতে চলেছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এর ফলে অনুপ্রবেশ সমস্যায় পাকাপাকিভাবে লাগাম পরানো যাবে।
৬০ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী সংক্রান্ত বিলটি আজ লোকসভায় পেশ করবেন অমিত শাহ। প্রথমে আলোচনা হবে, তারপর ভোটাভুটি। এর ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে উদ্বাস্তু হওয়া অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। লোকসভায় বিলটি সহজেই পাশ করাতে পারবে কেন্দ্র, সম্ভবত শিবসেনাও বিলটি সমর্থন করবে। রাজ্যসভাতেও তা উতরে যাবে বলে সরকারের আশা।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ মনে করেন, এই বিল তাঁদের জমির ওপর অধিকার খর্ব করবে, আঘাত হানবে জাতিসত্ত্বায়। নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন আগামীকাল এই বিলের বিরুদ্ধে ১১ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে, তাদের দাবি, এই বিল ১৯৮৫-র অসম চুক্তি বাতিল করে দেবে। এই চুক্তি বলছে, ১৯৭১-র ২৪ মার্চের পর এ দেশে যাঁরা এসেছেন, ধর্মনির্বিশেষে তাঁরা সকলেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তাঁদের বার করে দিতে হবে। আসু সহ অসমের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনগুলি নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটার হুমকি দিয়েছে। ১৯৫৫-র যে প্রকৃত নাগরিকত্ব আইন বলছে, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে শেষ ১৪ বছরের মধ্যে অন্তত ১১ বছর এ দেশে থাকতে হবে। এই সময়সীমা কমিয়ে অমুসলিমদের জন্য সময়টা ৫ বছর করা হচ্ছে নয়া নাগরিকত্ব বিলে। পাশাপাশি যতদিন তাঁরা নাগরিক্ব না পাচ্ছেন,ততদিন সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না।
বিরোধীরা বেশিরভাগই নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিল বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ধর্মনির্বিশেষে সবাইকে নাগরিকত্ব দিতে হবে, তা হলে তাঁরা এই বিল মানবেন। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য হলে তৃণমূল তা মানবে না। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের বক্তব্য, এই বিল অসাংবিধানিক, ভারত নামক ধারণার বিরুদ্ধে। এর ফলে ভারত হিন্দু পাকিস্তানে পরিণত হবে বলে তাঁর দাবি।
যদিও বিজেপির বক্তব্য, এই বিল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যদিও বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে কিছু কিছু এলাকা বাদ দেওয়া হচ্ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের যে সব জায়গায় যেতে ইনার লাইন পারমিট লাগে, সে সব জায়গায় এই বিল প্রযোজ্য হবে না বলে খবর। একই নিয়ম যে সব এলাকায় ষষ্ঠ তফশিল প্রযোজ্য, সে সব এলাকার পক্ষেও। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলেও এই বিলটি পেশ করা হয়েছিল কিন্তু উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভের জেরে লোকসভায় পাশ করা গেলেও তা রাজ্যসভায় পেশ করা হয়নি। ফলে বিলটি তামাদি হয়ে যায়।